শতরান হারালেন রোহিত-শিখর, পাটা পিচে ধোনি-কেদারের জুটির দৌলতে ৩০০ পার করল ভারত
মাউন্ট মাউনগানুই-য়ে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাটা পিচে বড় রান করল ভারত।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) মাউন্ট মাউনগানুই-য়ে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দারুণ শুরু করেও শতরান হারালেন রোহিত শর্মা শিখর ধাওয়ান - ভারতের দুই ওপেনারই। তাঁরা ১৫৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়ার পরও পাটা পিচে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইকতে ফিরিয়েছিলেন তাঁদের বোলাররা। কিন্তু শেষের ওভার গুলিতে ধোনি ও কেদার যাদবের জুটির দ্রুত রান তোলার দৌলতে ভারত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২৪ রান তুলল।
এদিন বে ওভালের পিচে বোলারদের জন্য সামান্যতম সাহায্যও ছিল না পিচে। তার উপর আউটফিল্ডও অত্যন্ত দ্রুত। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্দান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ভারত সাধারণত রান তাড়া করে খেলতেওই পছন্দ করলেও সম্ভবত বিশ্বকাপের আগে বড় রানের ইনিংস গড়া অনুশীলন করতেই এদিন আগে ব্য়াট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় টিম ম্যানেজেন্ট।
ভারতের দুই বিশ্ববরেণ্য ওপেনার রোহিত শর্মা (৮৭) ও শিখর ধাওয়ান (৬৬) - দুজনেই শুরুতে খানিক নড়বড় করছিলেন। দু-একটি বল দুজনেই কানায় লাগান। কিন্তু দুজনে জুটিতে ১৫৪ রান তুলে ভারতকে বড় ইনিংস গড়ার একটা মজবুত ভিত গড়ে দিয়েছিলেন।
ব্যাট করতে করতেই সম্ভবত তাঁরা বুঝেছিলেন এই উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংস বোলারদের কিছু করে দেখাতে হলে বেশ বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা দিতে হবে। তাই একটু আগেভাগেই তাঁরা খুলতে শুরু করেছিলেন। ১৮তম ওভারেই ভারত ১০০ রানের গণ্ডি পার করেছিল।
হাতে আর বিকল্প না থাকায় দ্রুতই ট্রেন্ট বোল্টকে দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে আনেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাঁর এই পরিবর্তন ম্য়াচে ফেরায় নিউজিল্যান্ডকে। দ্বিতীয়বার বল হাতে আক্রমণে এসেই শিখরের উইকেট তুলে নেন বোল্ট। তাঁর একট উইকেটের বাইরের বল তারা করে কানায় লাগিয়ে উইকেটের পিছনে ল্যাথামের হাতে ধরা পড়েন গব্বর।
এরপর ক্রিজে আসেন কোহলি। শিখর যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু শিখরের উইকেট অপর ওপেনার রোহিতের খেলার ছন্দ নষ্ট করে দেয়। ওপেনিং পর্নারে হারানোর পরই তাঁকে ফের নড়বড়ে দেখাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে শকতরানের আগেই থামান লোকি ফার্গুসন। একটি শর্টবল পুল করতে গিয়ে স্কোয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দেন ভারতের সহঅধিনায়ক।
এখানেই ম্য়াচে ফেরে নিউজিল্যান্ড। ৩০ ওভারে ভারতের রান ছিল ২ উইকেটে ১৭২। এর আগে অবধি ভারত যেভাবে এগোচ্ছিল তাতে সহজেই এখান থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ রানের কাছাকাছি উঠতে পারত। কিন্তু, ৫ ওভারের ব্যবধানে দুই সেট ব্য়াটসম্য়ানকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতের রান তোলার গতিতে লাগাম লাগায় ব্ল্যাক-ক্যাপসরা।
কোহলি-রায়ডু জুটি নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের জুট গড়েন, কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই শিখর-রোহিতের গিয়ারে ব্য়াট করতে পারেননি তাঁরা। এরমধ্যে বোল্টের একটি চমৎকার বাউন্সারের মোকাবিলা করতে না পেরে ৪৫ রান করে ইশ সোধির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
পাটা পিচে এদিন রায়ডু (৪৭) রান পেলেও যে গতিতে তাঁর রান তোলা উচত ছিল, তা আসেনি। ফলে ৩০ ওভারে ১৭০ রানের যে মঞ্চ পেয়েছিল ভারত, তাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি বিরাট-বাহিনী। শেষের ওভারে অবশ্য কিছুটা সামাল দেন বহু যুদ্ধের নায়ক ধোনি (৩৩ বলে অপরাজিত ৪৮) ও কেদার যাদব (১০ বলে অপরাজিত ২২)। যার ফলে ভারত ৩২৪ রানে পৌঁছায়। তবে এই পিচে রানটা জেতার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।