শুধু ফুলকিই, ফাটল না বাজি! শৃঙ্খলিত ভারতীয় বোলিং-এ নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গেল আড়াইশ'র নিচেই
নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা ২৫০-এর নিচেই গুটিয়ে দিল কিউইদের।
নিউজিল্য়ান্ডের ব্যাটিং দেখে মনে হল, যেন স্যাঁতসেঁতে বাজি। ফুলকি ছড়িয়েও শেষ পর্যন্ত ফাটল না। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) তৃতীয় একদিনের ম্যাচে শতরান হারালেন রস টেলর (৯৩)। আর তিনি ফিরতেই শৃঙ্খলিত ভারতীয় বোলিং-এর সামনে ৪৯ ওভারে মাত্র ২৪৩ রানেই গুটিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড ইনিংস। ৩ উইকেট নিলেন শামি। ২টি করে উইকেট পেলেন, ভুবি, পাণ্ডিয়া ও চাহাল।
এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিয়ানক কেন উইলিয়ামসন। এদিন তারা গ্র্যান্ডহোমির পরিবর্তে মিচেল স্যান্টনার-কে খেলায়। ভারতীয় দলে অবশ্য এদিন বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। হ্যামস্ট্রিং-এ চোট পাওয়া ধোনিকে বিশ্রাম দিয়ে উইকেটরক্ষক হিসেবে খেলানো হয়েছে দীনেশ কার্তিককে। বিজয় শঙ্করের পরিবর্তে দলে এসেছেন বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাসিত হওয়া হার্দিক পাণ্ডিয়া।
প্রতিপক্ষকে ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেওয়াটা ভারতীয় বোলাররা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। এদিন নিয়ে ২০১৯-এ এই নিয়ে ৬টি একদিনে ম্যাচেই প্রতিপক্ষের দুই ওপেনারকে পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় জোরে বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারে শামি ও সপ্তম ওভারে ভূবনেশ্বর আউট করেন যথাক্রমে মুনরো (৭) ও গাপ্টিল (১৩)-কে। দুজনেই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়লেন।
এরপর ভারত দুই স্পিনারের সঙ্গে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে মিলিয়ে মিশিয়ে ব্ভবহার করে। বিতর্ক কাটিয়ে দলে ফিরেই পাণ্ডিয়া বলে-ফিল্ডিংয়ে বুঝিয়ে দিলেন বিশ্বকাপের দলে তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ওপেনারদের বিদায়ের পর দলের ইনিংস কিছুটা থিতু করেছিলেন কেন-রস জুটি। কিন্তু কয়েক ওভার দেখে ব্য়াট করার পরে চাহালের বলে চালাতে গিয়ে আউট হলেন কিউই অধিনায়ক (২৮)। মিড উইকেটে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন পাণ্ডিয়া।
এরপর আর ঝুঁকির পথে পা বাড়াননি রস টেলর ও ল্যাথাম। ভারতীয় বোলার ও তাদের মধ্য়ে রীতিমতো ধৈর্যের পরীক্ষা শুরু হয়। ১২ ওভারের পর থেকে পরবর্তী ১১ ওভারে একটিও বাউন্ডারি পায়নি ব্ল্যাক ক্যাপসরা। বদলে সিঙ্গলস নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখার পথ নেন তাঁরা। দুজনেই অর্ধশতরান করে নিজেদের মধ্যে শতরানের জুটিও গড়েছিলেন।
তাঁদের উপর অবশ্য ক্রমশ রানের গতি বাড়ানোর চাপ এঁটে বসছিল। তারই শিকার হন ল্যাথাম (৫১)। চাহালের বলে রায়ডু হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর একটি শর্ট ডেলিভারি হেনরি নিকোলস (৬)-কে ফিরিয়ে দেন পাণ্ডিয়া। কিছু পরেই তুলে নেন স্যান্টনার (৩)-কেও। ফলে টেলর-ল্যাথামের মাঝের ওভারের প্রচেষ্টা জলে যায়। শেষের দিকের ওভারে নিউজিল্যান্ডের উপর চাপ ফিরিয়ে দেন ভারতীয় বোলাররা।
নিউজিল্যান্ডের ভরসা ছিলেন শতরানের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা রস টেলর। কিন্তু, ৪৬ তম ওভারে শামির বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটরক্ষক কার্তিকের হাতে। সেই সময় তাদের রান ছিল ৭ উইকেটে ২২২। টেলর ফিরতেই পরের ৩ ওভারে আর মাত্র ২১ রান তুলতে না তুলতেই তাদের শেষ তিন উইকেট পড়ে যায়।
ভারতীয় বোলাররা প্রত্যেকেই আজ খুব ভাল বল করেছেন। শামি নিলেন ৪১ রানে ৩ উইকেট। পাণ্ডিয়ার ২ উইকেট এসেছে ৪৫ রানের বিনিময়ে। একমাত্র কুলদীপই উইকেটহীন থাকেন।