নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত - কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্য়াক্তিগত টক্কর, নির্ভর করছে সিরিজের ভবিষ্য়ত
কিছু গুরুত্বপূর্ণ লড়াই যা নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত ওডিআই সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় সাফল্যের পর বুধবার (২৩ জানুয়ারি) নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেপিয়ারে ৫ ম্যাচের একদিনের সিরিদজ শুরু করে চলেছে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। অপর দিকে কিউইরাও সদ্য সদ্য ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে। একদিনের ক্রিকেটে, কেন উইলিয়ামসনের দল কিন্তু বিশেষ করে ঘরের মাঠে দারুণ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।
ক্রিকেট অবশ্যই দলগত খেলা। ব্যক্তিগত প্রতিভার জোরে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছনো গেলেও সবসময় জেতা যায় না। অস্ট্রেলিয়ায় সিডনি ওডিআইতেই তা আরও একবার প্রমাণ হযে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে তারকাদের ব্যক্তি লড়াই চলতেই থাকে। এই ছোট থোট লড়াইগুলোই কিন্তু অনেক সময় ম্যাচ এমনকী সিরিজের ভবিষ্যতও ঠিক করে দেয়।
ভারত-নিউজিল্যান্ড দুই দলেই প্রতিভার অভাব নেই। আছে ব্যাক্তিগত টক্করও। দেখে নেওয়া যাক এরকমই কিছু ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যেগুলি প্রভাব ফেলবে সিরিজের ফলাফলে।
বিরাট কোহলি বনাম ট্রেন্ট বোল্ট
অস্ট্রেলিয়া
সফরেও
কোহলির
দুর্ধর্ষ
ফর্ম
বজায়
ছিল।
তার
উপর
নিউজিল্যান্ডে
২০১৪
সালের
শেষ
সফরে
৫টি
ওডিআই
খেলে
তিনি
২টি
অর্ধশতরান
ও
১টি
শতরান
করেছিলেন।
ফলে
আন্ন
সিরিজেও
তিনিই
ব্ল্যাক
ক্যাপসদের
মুখ্য
মাথাব্যথার
কারণ।
তাঁকে
আটকাতে
ব্ল্যাক
ক্যাপসদের
সেরা
বাজি
বোল্ট।
তিনি
সাম্প্রতিককালে
সব
ফর্ম্যাটের
ক্রিকেটেই
দারুণ
পারফর্ম
করেছেন।
এই
দুই
সেরার
লড়াইয়ে
যিনি
জিতবেন,
তিনি
কিন্তু
দলে
সিরিজ
জেতানোর
দিকে
এগিয়ে
নিয়ে
যাবেন।
॥
ভুবনেশ্বর কুমার বনাম কেন উইলিয়ামসন
অস্ট্রেলিয়ার হাতে কিন্তু কেন উইলিয়ামসনের মতো কোনও ব্যাটসম্য়ান ছিল না। আধুনিক যুগের সেরা চার ব্যাটসম্যানের অন্যতম তিনি। শুধু টেকনিকালি বড় ব্যাটসম্য়ানই নন, তিনি আবার স্পিনটাও ভাল খেলেন। ফলে ভারতের সামনে এই সিরিজে কিউই অধিনায়ক বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারেন। তাঁকে নির্বিষ করতে বিরাট নিশ্চয়ই কাজে লাগাবেন ভুবিকে। ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে প্রদর্শন ভাল না হলেও অস্ট্রেলিয়া ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে ছন্দে ফিরে এসেছেন তিনি। দুই ক্রিকেটারই মাথা খাটিয়ে ক্রিকেট খেলেন। কাজেই তাঁদের দ্বন্দ্ব দারুণ আকর্ষণীয় হতে চলেছে।
মহম্মদ শামি বনাম কলিন মুনরো
দীর্ঘদিন ভারতের একদিনের দলে খেলার সুযোগ পাননি শামি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় বুমরা না থাকায় তিনি ৩ ম্য়াচেই খেলার সুযোগ পান। আর সেই সুয়োগকে দুহাতে লুফে নিয়েছেন তিনি। গোটা সিরিজেই তিনি অত্যন্ত ধারালো বোলিং-এর নিদর্শন রেখেছেন। তিনি কিন্তু নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডারে ভাঙন ধরাতে পারেন। টপ অর্ডারে কিন্তু বাঁহাতি ব্য়াটসম্য়ান কলিন মুনরো আছেন। যিনি খুব ভাল স্ট্রোক প্লেয়ার। অজিদের বাউন্সারে দারুণভাবে নাকাল করেছিলেন শামি। মুনরো তাঁকে কী ভাবে সামলান সেটাই দেখার।
রোহিত শর্মা বনাম ট্রেন্ট বোল্ট
ভারেতর শেষ নিউজিল্যান্ড সফরটা রোহিত শর্মার ভাল যায়নি। তবে তারপর থেকে রোহিত সব পরিস্থিতিতে খেলার মতো দুর্ধর্ষ ব্য়াটসম্য়ান হয়ে উঠেছেন। নিউজিল্যান্ডে বাউন্ডারি সাধারণত কিছুটা ছোট থাকে। কাজেই হিটম্য়ানের সামনে অত্যন্ত লোভনীয় কিছু সময় অপেক্ষা করে আছে। তবে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরক অবস্থায় পৌঁছনোর জন্য তাঁর কিছুটা সময় লাগে। তাই শুরুর দিকেই তাঁকে ফেরাতে চাইবে ব্ল্যাক ক্যাপসরা আর এই ক্ষেত্রে তাদের ভরসা সেই ট্রেন্ট বোল্ট। রোহিত সুইংয়ের বিরুদ্ধে ততটা সড়গড় নন, আর বোল্টের হাতে রয়েছে দুর্ধর্ষ সুইং। কাজেই রোহিতের দুর্বলতাকে তিনি কাজে লাগাতে চাইবেনই। হিটম্যান তা কীভাবে সামলান, তার উপর কিন্তু ভারতের ভাল ফল করা অনেকটাই নির্ভরশীল।