ঘুরিয়ে নাক ধরল টিম ইন্ডিয়া! কোন অজানা কারণে ২ ঘন্টার পথ ৪ ঘন্টায় - মিলছে না কোনও সদুত্তর
ভারতীয় দল অকল্যান্ড হয়ে হ্যামিল্টন থেকে ওয়েলিংটনে আসার কারণে ২ ঘণ্টা বেশি সময় লেগেছে। কিন্তু এর পিছনের কারণ কারোর জানা নেই।
একেই বলে ঘুরিয়ে নাক ধরা। হ্যামিল্টন থেকে ওয়েলিংটন, সরাসরি বিমান যাত্রায় পৌঁছে যাওয়া যায় ঘন্টা দেড়েকেই। কিন্তু, ভারতীয় ক্রিকেট দল প্রথে ২ ঘন্টা যাত্রা করে এল অকল্যান্ডে। সেখান থেকে বিমানে আরও ১ঘন্টা পারি দিয়ে পৌঁছল পঞ্চম একদিনের ম্যাচের স্থান ওয়েলিংটনে।
ভারতীয় ক্রিকেটে ইদানিং বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে যার কোনও জুৎসই ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে রয়েছে ভারতীয় দল। এমনিতেই টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরা বাসে দীর্ঘ যাত্রা করতে অপছন্দ করেন বলে শোনা যায়। কিন্তু, সেই দলই কেন সরাসরি বিমান যাত্রা না করে অকল্যান্ড ঘুরে যেতে গেল তার কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
যে পথে ওয়েলিংটনে
টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে সফররত এক সাপোর্ট স্টাফ জানিয়েছেন এই লম্বা যাত্রা নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার কারোর মধ্যে কোনও অসন্তোষ নেই। তাঁর দাবি গোটা যাত্রাটাই বেশ আরামদায়ক ছিল। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁরা পৌনে দু'ঘন্টার বাস-যাত্রা করে অকল্যান্ডে পৌঁছান। তারপর সেখানে কিছুটা অপেক্ষর পর বিমান ধরে ১ ঘন্টার যাত্রায় আসেন ওয়েলিংটন বিমানবন্দরে। সেখান থেকে মিনিট দশেকের বাস যাত্রায় পৌঁছান টিম হোটেলে।
নিউজিল্যান্ড কী করল
নিউজিল্যান্ড দল অবশ্য ভারতীয় দলের মতো ঘুরপথে যায়নি। হ্যামিল্টন থেকে টার্বো বিমান পরিষেবা রয়েছে। সেই বিমান ধরেই মাত্র দেড় ঘন্টাতেই কিউইরা তাদের রাজধানী শহরে পৌঁছে যায়।
নেপথ্য কারণ
সবচেয়ে রহস্যজনক হল বিসিসিআই থেকে শুরু করে দলের সঙ্গে যুক্ত কেউ জানেন না ঠিক কী কারণে এতটা বাড়তি ঘোরাঘুরি করতে হল। তবে সূত্রের খবর টিম ইন্ডিয়ার কোনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নাকি দুই শহরের মধ্যে চলা টার্বো বিমান পরিষেবা ব্যবহার করতে অস্বস্তি বোধ করেছিলেন। মবলত তাঁদের আপত্তিতেই এই ঘুরিয়ে নাক ধরা।
ভ্রমণপথ ঠিক করে কে
বিসিসিআই-এর অপারেশনস উইং-এর উপরেই দায়ীত্ব থাকে টিম ইন্ডিয়ার থাকা-খাওয়া-যাতায়াতের ব্যবস্থাপনার। তবে সব ব্যবস্থা করার আগে ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলে নেওয়া হয়। দলের অধিনায়কও এই ব্যাপারে অবহিত থাকেন। কাজেই দলের সঙ্গে না থাকলেও বিরাট কোহলিও এই বিষয়টি জানেন বলেই ধরে নেওয়া যায়।