৩ ম্যাচে, ৩ কটাক্ষ-পোস্টার - বিধ্বস্ত ২ দলের ২ ক্রিকেটার! সিরিজ জুড়ে তাড়া করল বিতর্কের ভুত
কফি উইথ করণ শো-তে বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও এক মহিলা ক্রিকেট সমর্থক কটাক্ষ করলেন হার্দিক পাণ্ডিয়াকে।
'কফি উইদ করণ' টকশোতে গিয়ে মহিলাদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও নিজের যৌনজীবন নিয়ে পরিবারের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার কথা বলে বিতর্কে নজিরবিহীন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া ও কেএল রাহুল। তারপর সেই বিতর্কের জল অনেকদূর গড়ায়। মাঝে তাঁদের ক্রিকেট জীবনের উপরই প্রশ্ন-চিহ্ন পড়ে গিয়েছিল। তদন্ত চসাকালীন তাঁদের অনির্দিষ্টকালের জ্য নির্বাসিত করা হয়েছিল।
তবে গত ১৭ জানুয়ারি তাদের সেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। হার্দিককে নিউজিল্যান্ডেও পাঠানো হয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য। ফলে সাময়িকভাবে হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। বিতর্ককে পিছনে ফেলে মাঠে নেমে ভাল পারফর্মও করেছেন। কিন্তু রবিবার হ্যামিল্টনের মাঠে ফের তচাঁকে তাড়া করল সেই বিতর্কের ভূত।
চেনা অচেনা জাতির জনক
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পাঁচবার মনোনীত হন মহাত্মা গান্ধী। সেসময়ে নোবেল কমিটি বারবারই দুঃখপ্রকাশ করে, কারণ সেসময়ে মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার দেওয়ার রীতি ছিল না।
|
কারকে আয়া কেয়া?
রবিবার তৃতীয় টি২০ ম্য়াচ চলাকালীন গ্যালারি থেকে এক তরুণী একটি পোস্টার তুলে ধরেন। তাতে রোমান হরফে লেখা ছিল, 'হার্দিক আজ কারকে আয়া কেয়া?' (হার্দিক আজ কি করে এসেছ?)। এই পোস্টারের ভাষা ধার নেওয়া হয়েছে কফি উইদ করণে হার্দিকেরই করা এক বিতর্কিত মন্তব্য থেকে।
চেনা অচেনা জাতির জনক
৪টি মহাদেশের ১২টি দেশের গণ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
'কারকে আয়া মা'
বলিউডি ফিল্ম পরিচালক করণ জোহরের টক শো-তে গিয়ে হার্দিক জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর যৌন জীবন নিয়ে বাবা-মা'য়ের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করেন। জানিয়েছিলেন, কোনও মহিলার সঙ্গে যৌনমিলন হলে সেই দিন বাড়ি ফিরে মাকে তিনি নির্দ্বিধায় জানান, 'আজ কারকে আয়া'।
চেনা অচেনা জাতির জনক
যে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াই করে দেশকে স্বাধীনতা এনে দেন গান্ধী, সেই ব্রিটেন মহাত্মার জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ১৯৬৯ সালে তাঁর নামে ডাক টিকিট চালু করে।
|
অকল্যান্ডে #মিটু
তবে শুধু পাণ্ডিয়াই নন, গোটা টি২০ সিরিজে গ্যালারির প্রতিবাদের শিকার হয়েছেন আরও এক ক্রিকেটার, তিনি কিউই অলরাউন্ডার স্কট কাগেলেইজ্ন। ২০১৫ সালে তিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে বিচারে তিনি যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেও সাধারণ মানুষ তাঁকে ক্ষমা করেননি। অকল্যান্ডে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে তাঁকে উদ্দেশ্য করে গ্যালারিতে #মিটু পোস্টার-ও ধরা হয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল 'ওয়েক আপ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট, #মিটু'(জেগে ওঠে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট, #মিটু)।
চেনা অচেনা জাতির জনক
জানা গিয়েছিল, মহাত্মা প্রতিদিন ১৮ কিলোমিটার পথ হাঁটতেন। সেই হিসাবে পৃথিবী পরিক্রমায় বের হলে তিনি দু'বার পৃথিবী চষে ফেলতে পারতেন।
|
'না মানে না'
এমনকী সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামেও কাগেলেইজ্নকে জাতীয় দলে খেলানোর প্রতিবাদে এক তরুণী পোস্টার দিয়ে বলেছিলেন, 'নো মিনস নো' (না, মানে না)। পরে তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে মাছঠ থেকে বের করেও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
চেনা অচেনা জাতির জনক
একসময়ে সেনাদলে নাম লিখিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তবে যুদ্ধের বীভৎসতা দেখে তিনি এর ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে অহিংসার প্রতি আরও বেশি করে আকৃষ্ট হন।
চেনা অচেনা জাতির জনক
স্বাধীনতা পাওয়ার পরে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রথম বক্তৃতার সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না গান্ধী। ধর্মীয় সংহতি বজায় রাখতে কলকাতায় ছিলেন তিনি।
চেনা অচেনা জাতির জনক
গান্ধীর ব্যবহৃত বহু সামগ্রী, এমনকী যে বস্ত্র পরিহৃত অবস্থায় তিনি খুন হন, সেটিও মাদুরাইয়ের গান্ধী মিউজিয়ামে সংরক্ষিত করে রাখা রয়েছে।
চেনা অচেনা জাতির জনক
মহাত্মা গান্ধীর ইংরেজি উচ্চারণের মধ্যে আইরিশ প্রভাব ছিল। কারণ তাঁর প্রথম শিক্ষক ছিলেন একজন আইরিশ।
চেনা অচেনা জাতির জনক
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন মহাত্মা। এরপর অ্যাটর্নি হন। তবে প্রথমবার আদালতে বক্তব্য রাখতে উঠে নার্ভাস হয়ে পড়েন গান্ধী। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসে পড়েন ও মামলা হেরে যান।
চেনা অচেনা জাতির জনক
মহাত্মা গান্ধীর ভক্ত ছিলেন অ্যাপেলের স্রষ্টা স্টিভ জোবস। তাঁর দেখাদেখি জোবসও গোলাকার ফ্রেমের চশমা পরতেন। পরে সেটাই হয়ে উঠেছিল জোবসের স্টাইল স্টেটমেন্ট।
চেনা অচেনা জাতির জনক
একজোড়া বাঁধানো দাঁত ছিল গান্ধীর। প্রয়োজনের সময় ছাড়া সেটিকে কাপড়ে মুড়ে কাছে রাখতেন তিনি।
চেনা অচেনা জাতির জনক
মহাত্মা গান্ধীর নামে ছোট রাস্তাগুলি বাদে মোট ৫৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে।। এছাড়া দেশের বাইরে মহাত্মার নামে মোট ৪৮টি রাস্তা রয়েছে।
চেনা অচেনা জাতির জনক
দক্ষিণ আফ্রিকাতে থাকাকালীন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে ফুটবলের প্রসারে ব্রতী হন গান্ধী। তিনি ডারবান, প্রিটোরিয়া ও জোহানেসবার্গে ফুটবল ক্লাব খুলতে উদ্যোগী হন। তিনটিরই নাম ছিল, 'প্য়াসিভ রেসিস্টার্স সকার ক্লাব'।
চেনা অচেনা জাতির জনক
গান্ধীজী কখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাননি। তবে সেখানেও তাঁর ভক্ত কম নেই। তাঁর অন্যতম বড় অনুরাগী ছিলেন হেনরি ফোর্ড। এক সাংবাদিকের হাত দিয়ে তাঁকে একটি চরকা উপহার দেন গান্ধী।