৭০ হাজার মানুষের সামনে ব্যর্থ হবেন না, সতীর্থদের বলেছিলেন ঋদ্ধিমান
এই মুহুর্তে তাঁকেই বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চোট সারিয়ে ফিরে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন।
এই মুহুর্তে তাঁকেই বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চোট সারিয়ে ফিরে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তুখর উইকেট কিপিং-র জন্য ক্রিকেট প্রেমীরা তাঁর নাম দিয়েছে 'সুপারম্যান'। সেই ঋদ্ধিমান সাহা, হাতের আঙুলের সফল অস্ত্রোপচারের পর নিজের সফলতার রহস্য উন্মোচন করলেন। একই সঙ্গে গোলাপি বলের টেস্ট নিয়েও নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বাংলার উইকেটরক্ষক।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলের ওপর নজর
ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অথচ আকারে সাধারণ ঋদ্ধিমান সাহার বক্তব্য, উইকেটরক্ষকের দস্তানা হাতে তিনি আলাদা কিছু করেন না। বোলারের ডেলিভারি থেকে শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত তিনি বলের ওপর নজর রাখেন। এভাবেই তিনি বলের নাড়াচাড়া বুঝতে পারেন বলে জানিয়েছেন ভারতের উইকেটরক্ষক।
জটিল করে কী লাভ
ঋদ্ধিমান সাহার কথায়, যে কোনও মুহূর্ত কিংবা পরিস্থিতিকে তিনি সহজ ভাবে দেখার চেষ্টা করেন। খেলার টেকনিকের ক্ষেত্রের তিনি সেই অভ্যাসই বজায় রাখেন। কোনও পরিস্থিতিকে অযথা জটিল করে সফলতা পাওয়া যায় না বলে মনে করেন ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক।
ঘরের মাঠে গোলাপি বলের টেস্ট
ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বলে আগেও খেলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে এবারের অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে অন্যরকম বলে জানিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার উইকেটরক্ষক। তাঁর কথায়, কাজটা কঠিন ছিল। ফ্র্যাড লাইটে প্রতিটি গোলাপি বল দস্তানা বন্দি করতে তাঁকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। তবে ঋদ্ধিমান খুশি যে তিনি ব্যর্থ হননি। ৭০ হাজার দর্শকের সামনে তিনি ব্যর্থ হবেন না বলে সতীর্থদের কথা দিয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান।
ফোকাস ধরে রাখা
চোটের জন্য ১৮ মাস ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর জায়গা প্রায় নিয়েই নিয়েছিলেন তরুণ ঋষভ পন্থ। তবু সেই সময় তিনি নিজের ফোকাস ধরে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান। বলেছেন, ওই সময় তিনি নিজের পারফরম্য়ান্সের ওপর নজর দিয়েছিলেন।