সমস্যায় সবুজ-মেরুন, গুরুতর অভিযোগ নিয়ে এআইএফএফ-এর দারস্থ প্রাক্তন বাগান কোচ
বেতন সমস্যা নিয়ে ডামাডোল অব্যাহত মোহনবাগানে। মোহনবাগানের থেকে এখনও বকেয়া বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুললেন মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করা কোচ সঞ্জয় সেন।
বেতন সমস্যা নিয়ে ডামাডোল অব্যাহত মোহনবাগানে। মঙ্গলবারই মোহন ফুটবলাররা ঠিক করেছিলেন বেতন না পেলে প্র্যাক্টিসে নামবেন না তাঁরা। কিন্তু অধিনায়ক শিল্টন পালের কাছে ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্রের ফোন আসার পর এবং ক্লাব সচিবের কাছে বেতন পাওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর শিল্টন সহ গোটা দল অনুশীলনে অংশ নেন।
এবার মোহনবাগানের থেকে এখনও বকেয়া বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুললেন মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করা কোচ সঞ্জয় সেন।
বকেয়া চাপর মাসের বেতন চেয়ে ফেডারেশনের দারস্থ হলেন চেতলার সঞ্জয়। অতীতে বহুবার দেখা গিয়েছে বেতন না পেয়ে দিল্লির ফুটবল হাউসের স্মরণাপন্ন হয়েছেন বিভিন্ন ফুটবলার। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও কোচ বেতনের না পাওয়ায় হাঁটেননি এই পথে। ফলে এআইএফএফৃ-এর কর্তারাও সঞ্জয়ের এই অভিযোগকে নজিরবিহীন আখ্যা দিচ্ছেন। পাশাপাশি, যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে যে সঞ্জয়ের অভিযোগকে বিবেচনা করা হবে তাও জানান হয় দিল্লির ফুটবল হাউসের পক্ষ থেকে।
মোহনবাগানের কোচের দায়িত্ব একটানা সাড়ে তিন বছর সামলানোর পর চরম অপমান সঙ্গে করে সরে দাঁড়ান সঞ্জয়। তাঁকে উদ্দেশ্য করে ছেটানো হয় থুতু ছোঁড়া হয় ইঁট। সঞ্জয় যখন ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়েন তখন, মোহনবাগানে থেকে চার মাসের বেতন বকেয়া সঞ্জয়ের। এর পর অসংখ্যবার নিজের প্রাপ্য ১৮ লক্ষ টাকা চেয়ে মোহন কর্তাদের মেল করেন সঞ্জয়। কিন্তু কখনওই সঠিক জবাব পাননি তিনি। আর এর পরই বুধবার সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফুটবল ফেডারেশনের কাচে নিজের অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্জয়। নিজের চুক্তিপত্রের প্রতিলিপি জুড়ে দিয়ে সঞ্জয় লেখেন, 'আমার বকেয় চার মাসের টাকা কোনও ভাবেই দিচ্ছে না মোহনবাগান।
সাত
মাস
ধরে
অপেক্ষা
করার
পর
অবশেষে
আপনাদের
সাহায্য
চাইছি।'
জানা
যাচ্ছে,
এআইএফএফ-এর
থেকে
সমস্যার
সমাধান
না
হলে
ফিফা
এবং
আদালতের
দারস্থ
হতে
পারেন
সঞ্জয়
সেন।
ফুটবলার
বা
কোচের
বেতন
না
দেওয়া
বড়
অপরাধ
হিসেবে
বিচার
করে
ফিফা।
বাগান
যদি
সঞ্জয়ের
বকেয়া
না
মেটায়
তা
হলে
অদূর
ভবিষ্যতে
এ
এফ
সি
লাইসেন্সিং
ছাড়পত্র
আটকে
যেতে
পারে
মোহনবাগানের।
বড়
বিপদে
পড়তে
হতে
পারে
শতাব্দী
প্রাচীন
ক্লাবটিকে।