খালিদের দুইয়ে দুই! সোনি নর্ডে, শিলটন পাল ও ভাগ্য - এই তিনের কাছে পরাজিত হল নেরোকা
মোহনবাগান বনাম নেরোকা এফসি আইলিগ ২০১৮-১৯-এর ম্যাচের প্রতিবেদন।
মোহনবাগানের কোচিং-এর দায়িত্ব নিয়ে দুটি ম্যাচের দুটিতেই জয় পেলেন খালিদ জামিল। শনিবার (১২ জানুয়ারি) আইলিগ ২০১৮-১৯ মরসুমের ম্যাচে কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামের মাঠে নেরোকা এফসি-কে সোনি নর্ডের করা একমাত্র গোলে হারাল মোহনবাগান। তবে বাগানের গোলে শিলটন পাল ও সঙ্গে ভাগ্য সহায় না হলে, এই ম্যাচ বেশ কয়েক গোলে হারতে পারত সবুজ মেরুন।
মিনার্ভা পঞ্জাব ম্য়াচে খেলা দলে একটিমাত্র পরিবর্তন করেছিলেন খালিদ জামিল। রক্ষণে দলরাজ সিং-এর পরিবর্তে প্রথম দলে ফিরে আসেন কিমকিমা। এদিন কিন্তু মোহনবাগানের থেকে অনেক বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল নেরোকা। প্রথমার্ধেই তারা বেশ কয়েক গোলে এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু, তিনকাঠির নিচে প্রায় প্রাচীর হয়ে ওঠেন শিলটন।
দুর্ভেদ্য শিলটন
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই ম্য়াচে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল নেরোকা। বেশ কিছু ভাল সেভের সঙ্গে নেরোকার দুটি নিশ্চিত গোল প্রতিহত করেন শিলটন। প্রথমটি ২৬ মিনিটের মাথায়। সুভাষ সিং-এর জন্য গোলের বল তৈরি করে দিয়েছিলেন আরিয়ান। গোলে শট নিতেও ভুল করেননি নেরোকার উইঙ্গার। কিন্তু শিলটন তা প্রতিহত করেন। এরপর ৩৯ মিনিটেও ক্লোজ রেঞ্জ থেকে মেইতেই শট ফিরিয়ে দেন বাগান গোলরক্ষক।
মাঝমাঠের দখলএদিন কিন্তু মাঝমাঠ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেন নেরোকার আরিয়ান উইলিয়ামস ও সরণ সিং। বাগানের মাঝমাঠের দুই খেলোয়াড় কিনোয়াকি ও কালদেইরার তরফ থেকে বিশেষ প্রতিরোধই আসেনি। নেরোকার মাঝমাঠের সঙ্গে সমানে সমানে লড়ার মতো জায়গাতেই তাঁরা আসতে পারেননি। ফলে অন্তত প্রথমার্ধে মনের সুখে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে গিয়েছেন আরিয়ান ও সরণ।
এদিন কিন্তু মাঝমাঠ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেন নেরোকার আরিয়ান উইলিয়ামস ও সরণ সিং। বাগানের মাঝমাঠের দুই খেলোয়াড় কিনোয়াকি ও কালদেইরার তরফ থেকে বিশেষ প্রতিরোধই আসেনি। নেরোকার মাঝমাঠের সঙ্গে সমানে সমানে লড়ার মতো জায়গাতেই তাঁরা আসতে পারেননি। ফলে অন্তত প্রথমার্ধে মনের সুখে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে গিয়েছেন আরিয়ান ও সরণ।
ভাগ্যের জোর
খেলার মাঠে একটি কথা প্রচলিত আছে - ভাগ্য দেবী সাহসীদের প্রতি প্রসন্ন থাকেন। মোহনবাগানের খেলায় যদি তিনি সন্তুষ্ট নাও হন, শিলটন একাই সম্ভবত তাঁর মন জিতে নিয়ে থাকবেন। সেই কারণেই হয়ত ৫২ মিনিটের মাথায় নিশ্চিত লাল কার্ডের হাত থেকে তিনি বেঁচে যান। বক্সের মধ্যে বল ছাড়াই তাঁর এক সময়ের সতীর্থ কাতসুমিকে ঘুসি মেরেছিলেন শিলটন। তা রেফারির নজর এড়িয়ে যায়।
কিসেকা দিলেন জমি
দ্বিতীয়ার্ধে খালিদ নামান হেনরি কিসেকা-কে। তিনি মাঠে আসাতে প্রথমবার ম্য়াচে পায়ের তলায় জমি পায় সবুজ-মেরুন। এক ঘন্টার মাথায় সোনি নর্ডে এক থ্রু পাসে ভেদ করে ফেলেছিলেন নেরোকা রক্ষণ। তা থেকে দিপান্ডা ডিকা গোলে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু নেরোকা গোলরক্ষক ললিত থাপা তা প্রতিহত করেন। এর মিনিট পনেরো বাদে কিসেকা, কালদেইরার জন্য একেবারে গোলের বল প্লেটে করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বাইরে মারেন তিনি।
জয়ের গোল
কোনওভাবেই গোল আসছে না দেখে শেষ পর্যন্ত একটি একক প্রচেষ্টা করেছিলেন ঘরের ছেলে সোনি নর্ডে। মিডফিল্ড থেকে বল পেয়ে নিজেই জায়গা তৈরি করে নিয়ে বক্সের বাইউরে থেকেই জমি ঘেসা শট নেন তিনি। দূরের পোস্টের নিচের কোনা দিয়ে বল গোলে ঢুকে যায়। আইলিগে মোহন বাগানের হাঁড়ির হাল হলেও, এদিনও হাজার আটেক দর্শক হাজির ছিলেন মাঠে। হাইতিয়ান ফরোয়ার্ডের গোলে তাঁরা উচ্ছ্বাসে ভেসে যান।
আপাতত ১৩ ম্য়াচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে বাগান থাকল লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে। এরপর মেরিনার্সরা ২৭ তারিখ কলকাতা ডার্বিতে তারা মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের। সেই ম্য়াচেই আসল পরীক্ষা দিতে হবে খালিদ জামিলকে।