অ্যাডিলেড টেস্টে ভারতের দুরন্ত জয়, ১-০ ফলে সিরিজে এগিয়ে গেল কোহলি ব্রিগেড
রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছিল অ্যাডিলেড টেস্ট। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না অস্ট্রেলিয়ার।
রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছিল অ্যাডিলেড টেস্ট। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না অস্ট্রেলিয়ার। স্টার্ক-কে প্যাভিলিয়নে ফেরাতেই ভারতের জন্য জয়ের রাস্তাটা খুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সামি। বলতে গেলে এরপর ভারতের জয়টা ছিল সময়ের অপেক্ষা। কারণ, ভারতের রাখা টার্গেট থেকে তখনও ৯৫ রান দূরে ছিল অস্ট্রেলিয়া। অশ্বিনের বলে কে এল রাহুল হ্যাজেলউডের ক্যাচ ধরতেই জয় পেয়ে যায় ভারত। শেষমেশ ৩১ রানে অ্যাডিলেড স্টেস্ট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেয় বিরাট বাহিনী।
রবিবার চতুর্থ দিনের খেলার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১০৪ রান। ভারতীয় বোলারদের দুরন্ত বোলিং-এ ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছিল অজি ব্যাটিং লাইন-আপ-এ। অশ্বিন ও সামি ২ করে উইকেট নিয়ে হেড-দের ব্যাটিং লাইন-আপ-এ কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখেছিলেন অ্য়ারন ফিঞ্চ, হ্যারিস, খোয়াজা, হ্যান্ডসকম্ব।
পষ্ণম দিনের খেলার শুরু হতেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস-কে টেনে তোলার দায়িত্বটা নিয়ে নিয়েছিলেন শন মার্শ। রবিবারের আর এক অপরাজিত ব্যাটসম্য়ান হেড বেশি রান না করলেও অধিনায়ক পেইন-ও অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে একটা লড়াইয়ের জায়গা নিয়ে আসেন। মার্শ ও পেইন-এর লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন অস্ট্রেলিয়ার টেল এন্ডাররা। বিশেষ করে কামিন্স ও স্টার্ক জুটি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস-এক ২০০ রানের গণ্ডি পার করান। স্টার্ককে প্যাভিলিয়নে ফেরাতে মনে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার লড়াই শেষ। কিন্তু, লিঁয়-কে সঙ্গে নিয়ে কামিন্স লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। এই সময় মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচটা না হেরে যায়। কিন্তু, কামিন্সকে ক্যাচ আউট করান বুমরাহ। অধিনায়ক কোহলি এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যাচ ধরতে কোনও ভুল করেননি।
এদিকে, একটি শতরান-সহ অর্ধশতরান-এর ইনিংস খেলায় চেতেশ্বর পূজারাকে ম্যান অফ দ্য ম্য়াচ সম্মান দেওয়া হয়। বিরাট কোহলি এই জয়ের জন্য বোলারদের যাবতীয় কৃতিত্ব দেন। বোলাররা অসামান্য় বোলিং করেছে বলেও সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ করেন বিরাট।