দেশের প্রথম ফুটবল মহাতারকার অবাধ বিচরণের সাক্ষী ক্রিকেট থেকে লন টেনিস
দেশের প্রথম ফুটবল মহাতারকার অবাধ বিচরণের সাক্ষী ক্রিকেট থেকে লন টেনিস
দেশের প্রথম ফুটবল মহাতারকার কেরিয়ার যে কেবল তেকাঠিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, সে কম বেশি সকলেরই জানা। ফুটবল ছেড়েও শুধুমাত্র খেলাকে ভালোবেসে কখনও ক্রিকেট ব্যাট, তো কখনও হকি স্টিক হাতে তুলে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন চুনী গোস্বামী। সবক্ষেত্রেই যে তিনি সফল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি!
ফুটবল থেকে অবসর
মোহনবাগান রত্ল চুনী গোস্বামী ১৯৬৮ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান। তখন তাঁর বয়স মাত্র তিরিশ। তা বলে এখানেই শেষ হয়ে যায়নি সুবিমল ওরফে চুনীর খেলোয়াড়ি জীবন। বরং এখান থেকে নতুন কেরিয়ার শুরু হয়েছিল তাঁর।
ক্রিকেটার চুনী
ফুটবল ছেড়ে ক্রিকেট ব্যাট হাতে তুলে নেওয়া ৩০ বছরের চুনী গোস্বামীর পাগলামি দেখে অনেকে মুচকি হেসেছিলেন। সেসবে আমল না দিয়ে চুটিয়ে ক্লাব ক্রিকেট খেলে বাংলা ক্রিকেট দলে খেলার সুযোগ পান চুনী গোস্বামী। ডান হাতি অল রাউন্ডার দুবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলার পাশাপাশি একই টুর্নামেন্টে বাংলাকে নেতৃত্বও দেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একটি শতরানও রয়েছে চুনী গোস্বামীর।
ক্রিকেট ছেড়ে
কেবল ফুটবল এবং ক্রিকেটেও পরিপূর্ণ নয় চুনী গোস্বামীর খেলোয়াড়ি কেরিয়ার। জানা যায়, ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর বেশকিছু কলকাতা ময়দানে হকি নিয়ে মেতে থাকেন এই কিংবদন্তি। সেখানেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। পেশাদারি ক্রীড়া জীবন শেষে কেবলমাত্র সখ পূরণ করতে কিছুদিন সাউথ ক্লাবে লন টেনিসও খেলেছিলেন চুনী গোস্বামী।
অন্য চুনী
খেলোয়াড় জীবন শেষে ফুটবল কোচিং-এ মনোনিবেশ করেন চুনী গোস্বামী। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির অধিকর্তা ছিলেন তিনি। বাংলা সিনেমা প্রথম প্রেমে অভিনয় করতেও দেখা গিয়েছিল চুনী গোস্বামীকে। ২০০৫ সালে তাঁকে কলকাতা শেরিফ মনোনিত করা হয়েছিল।
প্রকৃত অলরাউন্ডার, ফুটবল বাদে ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন চুনী, বাংলাকে তুলেছিলেন রঞ্জি ফাইনালে