ইস্টবেঙ্গলকে উড়িয়ে দিয়ে বছরের প্রথম ডার্বি জিতে নিল মোহনবাগান
ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে বছরের প্রথম ডার্বি জিতে নিল মোহনবাগান। সৃজনশীল ফুটবল খেলে যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারাল মোহনবাগান
ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে বছরের প্রথম ডার্বি জিতে নিল মোহনবাগান। সৃজনশীল ফুটবল খেলে যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারাল মোহনবাগান।
সবুজ-মেরুন ক্লাবের হয়ে দুই অর্ধে বেইতিয়া ও পাপা দিওয়ারা গোল করেন।১৮ মিনিটে বেইতিয়ার গোলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। এরপর ৬৪ মিনিটে পাপা বাবাকার দিওয়ারার গোলে ২-০ মোহনবাগানের লিড। ৭১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মার্কোস গোল করে ব্যবধান কমান।এই জয়ের ফলে দশকের প্রথম ডার্বি জিতে নিল মেরিনার্স।
অন্যদিকে লিগে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হেরে বসল ইস্টবেঙ্গল। টানা ছয় ম্যাচে অপরাজিত থেকে আই লিগের পয়েন্ট টেবিলে আরও জাঁকিয়ে বসল মোহনবাগান। ৮ ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষস্থানে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ডার্বি হারের পর ৭ ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ৭ নম্বরে নেমে এল ইস্টবেঙ্গল।রক্ষণে একাধিক ভুল করে বাঙালির বড় ম্যাচে ঐতিহ্যের লড়াই হেরে ট্রফি জয়ের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল।
এককথায় এদিন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুই অর্ধেই সমর্থকদের দাপুটে ফুটবল উপহার দিল মোহনবাগান। উল্টো দিতে ইস্টবেঙ্গল সেভাবে ম্যাচে কোনও প্রতিরোধই তৈরি করতে পারেনি।
প্রথমার্ধে মোহনবাগান আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই বেইতিয়ার গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এটি ডার্বিতে বেইতিয়ার প্রথম গোল।প্রথমার্ধে মোহনবাগান আরও একবার ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়ালেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে এরপর গোল বাবা দিওয়ারার। মোহনবাগান জার্সি গায়ে চাপানোর পর এটি দিওয়ারার প্রথম গোল। ৭০ মিনিটে জোড়া গোলে পিছিয়ে গেলেও ইস্টবেঙ্গল অবশ্য় হাল ছাড়েনি। ৭১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মার্কস গোল করে দলকে লড়াইয়ে ফেরালেও শেষরক্ষা হয়নি। ম্যাচের শেষ দিকে লাল-হলুদ ব্রিগেড কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি।