শুধু দৌড়ে নয়, পড়াশোনাতেও অনবদ্য হিমা, উচ্চমাধ্যমিকে পেলেন প্রথম বিভাগ
এশিয়ান গেমসে সোনা জয় করে থেমে থাকা নয়, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের বাইরে পড়াশোনার জগতেও তিনি কারও চেয়ে কম যান না। এদিন তা প্রমাণ করে দিলেন হিমা দাস।
এশিয়ান গেমসে সোনা জয় করে থেমে থাকা নয়, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের বাইরে পড়াশোনার জগতেও তিনি কারও চেয়ে কম যান না। এদিন তা প্রমাণ করে দিলেন হিমা দাস। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল বেরোলে দেখা গিয়েছে তিনি প্রথম ডিভিশনে পাশ করেছেন। যা দেখে গর্বিত বাবা রঞ্জিত দাস বলছেন, আমরা খুব খুশি। সারাদিন প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরও মেয়ে যে এভাবে পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করবে তা ভাবিনি।
হিমা
ইংরেজিতে
৬৩,
অসমীয়া
ভাষায়
৮৪,
অ্যাডভান্স
অসমীয়ায়
৬০,
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে
৭৫,
এডুকেশনে
৬৭
ও
ভূগোলে
৪৬
নম্বর
পেয়েছে।
পরীক্ষার
এক
মাস
আগেও
হিমা
তুরস্কে
ট্রেনিং
করছিল।
তারপর
খুব
অল্প
সময়ে
পরীক্ষার
প্রস্তুতি
নিয়েছে।
এখান
থেকে
তাঁর
পড়াশোনার
যাবতীয়
নোট
ক্যুরিয়ার
করে
হিমাকে
পাঠানো
হয়।
সেটা
পড়েই
সে
প্রস্তুতি
নিয়েছে।
জানুয়ারির শেষে অসমের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার দিন পনেরো আগে হিমা বাড়ি ফেরে। তারপর প্রয়োজনমতো পড়াশোনা করার করেছে। আপাতত সে ২০২০ সালের অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। একটা সময় এমন অবস্থা হয়েছিল, হিমা পরীক্ষা দেবেন কিনা তাই নিয়ে ভাবছিলেন। তবে তিনি শিক্ষকদের জানান, এবছর যদি পরীক্ষা দিতে না পারেন তাহলে দেরি হয়ে যাবে। তাই জোর করে হিমা এবছর পরীক্ষা দেন। কারণ পরের বছর নাহলে তাঁর অলিম্পিকের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে যেত।
হিমা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর ছয় সপ্তাহ পরে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ফিরেই ৪০০ মিটার দৌড়ে ফেডারেশন কাপে সোনা জিতেছেন। এই মুহূর্তে তিনি তুরস্কে রয়েছেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেটি এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হওয়ার কথা।