একা নবির কাছে শেষ শ্রীলঙ্কা, ২০১-এ থামলেন মালিঙ্গারা
একা নবির কাছে শেষ শ্রীলঙ্কা, ২০১-এ থামলেন মালিঙ্গারা।
মারকাটারি শুরু, তার পরেই ছন্দপতন। শেষ পর্যন্ত স্কোরবার্ডে মাত্র ২০১ রান। এটাই দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা! প্রথম উইকেটে ৯২ রান তুলে শেষ পর্যন্ত লঙ্কাব্রিগেডের ইনিংস গুটিয়ে গেল ২০১ রানে। ডার্ক-ওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জিততে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৮৭ রান।
শুরুর ব্যাটিং ঝড় দেখে ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেরই এদিন আন্দাজ ছিল তিনশো রানের গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দীমুথ করুণারত্নে ৩০ রানে ইনিংস খেলেন। করুণারত্নে ধীরে চলো নীতিতে ধরে খেলে ৩টি বাউন্ডারিতে ইনিংস সাজালেও বিস্ফোরক ব্যাটিং কুশল পেরেরার।
৮১ বলে ৭৮ রানের ঝড়ো ব্যাটিং ইনিংস খেলে দলকে দারুণ শুরুয়াত দেন কুশল। ৮ টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আফগান বোলারদের ঘাম ছুটিয়ে ছেড়ে দেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।দুই ওপেনার প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওযার পর তিন নম্বরে থিরিমানে স্কোরবোর্ডে ২৫ রান জুড়লেও মিডল অর্ডারে বাকিরা আর কেউ রান পাননি।
কুশল মেন্ডিস ২ রানে নবির শিকার হয়ে ফিরে যান। নিউজ্যান্ডের পর এদিনও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ০ রানে ফিরলেন ম্যাথিউস। প্রাক্তন লঙ্কান অধিনায়ক এদিন নবির শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এছাড়া আরও দুটি উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কাবাহিনীর ব্যাটিংয়ে জোর ধাক্কা দেন নবি। ম্যাচে সব মিলিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন আফগান অল-রাউন্ডার।
এরপরেই বৃষ্টির জন্য বেশ কিছু্ক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। ঘণ্টা দুয়েক পর ৪১ ওভারে কমিয়ে আনা ম্যাচ ফের শুরু হতেই পর পর লাসিথ মালিঙ্গা ও নুয়ান প্রদীপের উইকেট হারায় দ্বীপরাষ্ট্রের দল।
নবি ছাড়া অন্যদের মধ্যে রশিদ, দৌলত জাদরন ও রশিদ খান ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। ম্যাচ জিততে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ২০২ রান।