দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংকে ক্লাব স্তরে নামাল বাংলাদেশ
ইংল্যান্ডের পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাংলাদেশও দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী বোলিং লাইন আপেকে কার্যত ক্লাব স্তরে নামিয়ে আনল।
ইংল্যান্ডের পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাংলাদেশও দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী বোলিং লাইন আপেকে কার্যত ক্লাব স্তরে নামিয়ে আনল। দুই প্রাক্তন অধিনায়ক তথা অভিজ্ঞ সাকিব-আল-হাসান ও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ১৪২ রানের পার্টনারশিপ এবং মহম্মদুল্লা, সৌম্য সরকারের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকেও ছাপিয়ে গেল বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে তারা তুলল ৩৩০ রান।
লন্ডনের ওভালে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। কিন্তু প্রোটিয়াসদের অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসির সেই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ, ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক রণনীতি নেয়। ৯ চার সহযোগে ৩০ বলে ৪২ রান করে আউট হন ওপেনার সৌম্য সরকার। ২৯ বলে ১৯ রান করেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল। ৭৫ রানের মাথায় দলের দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর জুটি বেঁধে বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন সাকিব-আল-হাসান ও মুশফিকুর রহিম। কাগিসো রাবাডা, ক্রিস মরিস সম্বলিত বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং অ্যাটাক নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন বাংলাদেশের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক।
বাংলাদেশ ২১৭ রানে পৌঁছলে ব্যক্তিগত ৮৪ বলে ৭৫ রানের মাথায় ইমরান তাহিরের বলে আউট হন সাকিব। পাঁট নম্বরে নামা মহম্মদ মিঠুনও ২টি চার ও একটি ছয় সহযোগে করেন ২১ বলে ২১ রান। ৮০ বলে ৭৮ রান করে আন্দিলে ফেহলুকোয়াওয়ের বলে আউট হন মুশফিকুর। এরপর মহম্মদুল্লা ও মোসাদ্দেক হোসেনের যথাক্রমে ঝড়ো ৩৩ বলে ৪৬ ও ২০ বলে ২৬ রানের দৌলতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাহাড় প্রমাণ টোটালের সামনে দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। প্রোটিয়াসদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ইমরান তাহির, ক্রিস মরিস ও আন্দিলে ফেহলুকোয়াও।