
প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাইয়ের বক্তব্য
বিসিসিআই-এর প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাই কিন্তু দুই ক্রিকেটারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'সব বাজে কথা। নির্বাচক কমিটির পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগের অভাব ঘটেনি। আমাদের নির্বাচক কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করে। ওই ক্রিকেটারদের (নায়ার ও বিজয়) বিবৃতি বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাচকদের উপরই ছাড়া হয়েছে।'

বিসিসিআই-এর অবস্থান
বিসিসিআই-এর আধিকারিক সাফ জানিয়েছেন, 'নির্বাচন নীতি নিয়ে মুখ খুলে ঠিক করেননি বিজয় এবং করুণ। তাঁরা কেন্দ্রীয় চুক্তি ভেঙেছেন। সফর শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সেই সফর নিয়ে কোনও ক্রিকেটার মুখ খুলতে পারেন না। ১১ অক্টোবর হায়দরাবাদে প্রশাসনিক কমিটির একটি মিটিং হবে। সেখানে বিষয়টি তোলা হবে।'

বিজয়ের বক্তব্যে অস্বস্তি বেশি
জানা গিয়েছে তরুণ ক্রিকেটার করুণ নায়ারের থেকেও সিনিয়র মুরলি বিজয়ের বক্তব্য বেশি অস্বস্তিতে ফেলেছে নির্বাচক কমিটিকে। বিসিসিআই-এর এক আধিকারিক বলেছেন, 'বিজয়কে যদি সব কিছু স্পষ্ট করে না বলা হত, তাহলে ও এসেক্সের হয়ে নিশ্চিন্তে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে পারত না। ও সত্যি কথা বলছে না।'

করুণ নায়ারের বিবৃতি
ইংল্যান্ড সফরে একটি ম্যাচেও প্রথম একাদশে সুযোগ না পেয়েই ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন পর করুণ নায়ার। তারপর তিনি বলেছিলেন, 'না আমাদের (নির্বাচক কমিটির সঙ্গে করুণের) কোনও কথা হয়নি। একটা কথাও না। এটা মেনে নেওয়া কঠিন। তবে, আমিও কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি। কিন্তু, আমাদের মধ্যে কোনও আলোচনাই হয়নি।'

মুরলি বিজয়ের বক্তব্য
করুণ নায়ারের বিবৃতির একদিন পড়েই আসে মুরলি বিজয়ের বক্তব্য। তিনি অভিযোগ করেন, 'ইংল্যান্ডে তৃতীয় টেস্টে বাদ পড়ার পড়ে নির্বাচক কমিটির প্রধান বা কেউ আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। টিম ম্য়ানেজমেন্টের এক সদস্য আমায় বাদ পড়ার কথা জানান। ওই অবধিই।'