ইমরান-ওয়াসিমের পাকিস্তান ক্রিকেটে হল কী, প্রশ্ন সব মহলে
স্বাধীনতার পর আব্দুল হাফিজ কারদারের হাত ধরে স্বাবলম্বী হওয়া পাকিস্তান ক্রিকেট ফাজাল মাহমুদ, ইমতিয়াজ আহমেদ, জাভেদ বুরকি, হানিফ মহম্মদ, সৈয়দ আহমেদ, ইনতিখাব আলম, মাজিদ খান, মুস্তাক আহমেদ, ওয়াসিম বারি,
স্বাধীনতার পর আব্দুল হাফিজ কারদারের হাত ধরে স্বাবলম্বী হওয়া পাকিস্তান ক্রিকেট ফাজাল মাহমুদ, ইমতিয়াজ আহমেদ, জাভেদ বুরকি, হানিফ মহম্মদ, সৈয়দ আহমেদ, ইনতিখাব আলম, মাজিদ খান, মুস্তাক আহমেদ, ওয়াসিম বারি, জাহির আব্বাস, আসিফ ইকবালের মতো দক্ষ খেলোয়াড়ের জন্ম দিয়েছে। শুরুর সময়ে তারকা খচিত পাকিস্তান, টেস্টে শক্তিশালী ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে শক্ত গাঁট হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
টেস্টে বরাবরই সুনামের অধিকারি পাকিস্তান, আশির দশকে ওয়ান ডে-তে কিন্তু কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিল। তাই প্রতিশ্রুতিমান দল হওয়া সত্ত্বেও ১৯৭৫-এ গ্রুপ স্টেজ, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৮৭ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল থেকেই ফিরে যেতে হয় পাক ক্রিকেট দল। সেই দলকেই ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠা দেওয়া শুধু নয়, ১৯৯২-র বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন লেজেন্ড ইমরান খান।
জাভেদ মিয়াদাঁদ, ওয়াসিম আক্রম, রামিজ রাজা, আমির সোহেল, ইনজামাম-উল-হক সম্বলিত পাকিস্তানের ওই ১৯৯২-র দলকে অন্যতম সেরা মনে করেন সে দেশের সমর্থকরা। এরপর থেকে প্রতি বিশ্বকাপেই ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও হতাশাই সঙ্গী হয় পাক দলের। একমাত্র ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা ছাড়া এই টু্র্নামেন্টে তেমন সফলতা হাতে আসেনি পাকিস্তানের। তবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্স, সেদেশের সমর্থকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। ইমরান, জাভেদ, ওয়াসিমরা যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তা ভার সারফারাজ আহমেদ, বাবর আজমরা বহন করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ।
নুব্রা ভ্যালি
জম্মু ও কাশ্মীরের লেহ-তে অবস্থিত নুব্রা ভ্যালির প্রাকৃতিক শোভা অপার। এবছর এখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে মন্দ হবে না।
ইমরান ও মিয়াদাঁদ
আসিফ ইকবাল ও জাহির আব্বাস যুগের শেষে পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন ইমরান খান ও জাভেদ মিয়াদাঁদ। তৎকালীন সময়ে সমীত ওভার ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার ইমরান এবং ব্যাটসম্যান মিয়াদাঁদ পাকিস্তানের এক প্রজন্মকে ক্রিকেটের প্রতি নতুন ভাবে আকর্ষণ করেন। ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনুস, সৈয়দ আনায়োর, ইনজামাম-উল-হক, আমির সোহেল, মইন খানদের মতো কিংবদন্তী ক্রিকেটাররা, ইমরান-মিয়াদাঁদের ছত্রছায়াতেই বেড়ে উঠেছিলেন।
দিল্লি
রাজধানী দিল্লি ঐতিহ্যের দিক থেকেও দেশের মধ্যে সেরা। এখানকার লালকেল্লা, শাহি দরবার, কুতুব মিনার দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন। কুতুব মিনার বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ইঁটের তৈরি ইমারত। এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবেও মান্যতা দিয়েছে ইউনেস্কো।
আক্রম-ওয়াকার-আনোয়ার-সোহেল
ব্যাটিংয়ে বাঁ-হাতি সৈয়দ আনোয়ার, আমির সোহেলের জুটিকে পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে সুলতান অফ সুইং ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে রিভার্স সুইং স্পেশালিস্ট ওয়াকার ইউনুসের জুটিকে ভয় পেতেন না, বিশ্বে এমন কোনো ব্যাটসম্যান ছিলেন না। তাঁদেরই সময় উঠে আসা ইনজামাম-উল-হক, আখিব জাভেদ, মুস্তাক আহমেদ, সাকলাইন মুস্তাকরাও কম ভয়ঙ্কর ছিলেন না।
মাথেরন
মহারাষ্ট্রের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত এই হিল স্টেশনটি এশিয়ার একমাত্র 'অটোমোবাইল ফ্রি' শৈল শহর।
এরপর
সুলতান অফ সুইং ওয়াসিম আক্রমের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পাকিস্তান ক্রিকেটে জন্ম নেয় শোয়েব আখতার নামে এক ত্রাস। পেস, সুইং, বাউন্সে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল করে দিতে পারদর্শী শোয়েব, আজহার মেহমুদ, আব্দুর রাজ্জাক, মহম্মহ সামি, উমর গুলদের মতো সঙ্গী পেয়ে পরিপূর্ণ হয়েছিলেন।
চারমিনার
ফেলুদার গল্প পড়েই মুসি নদীর তীরের ঐতিহ্যশালী চারমিনার ও হায়দ্রাবাদ শহরের সঙ্গে বাঙালির পরিচিতি। এই শহরে ঘুরে এলে ইতিহাসকেও একবার স্বচক্ষে দেখা ও ছুঁয়ে আসা যাবে।
সঙ্কটে ক্রিকেটে
ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে বল বিকৃতি এবং বেটিং কাণ্ডে জড়িয়ে, শোয়েব আখতারদের মতো প্রবীণ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি মহম্মদ আমির, সলমন বাটদের মতো প্রতিশ্রুতিমান খেলোয়াড়দের ভবিষ্যত শেষ হয় যায়। তারই মধ্যে ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফর রত শ্রীলঙ্কা টিম বাসের কাছে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের জন্য আক্রমদের দেশে যে কোনো রকম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর আয়োজন নিষিদ্ধ করে দিয়েছে আইসিসি।
হোগেনাক্কাল ফলস
তামিলনাড়ুতে একেরপর এক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা এককথায় অনন্য। যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'নায়গ্রা জলপ্রপাত' স্বচক্ষে দেখেননি, তাঁরা হোগেনাক্কাল ঘুরে আসতে পারেন। এটিকে 'ভারতের নায়াগ্রা' বলে অভিহিত করা হয়।
শূণ্যতা
সব মিলিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে তৈরি হওয়া শূণ্য়তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন আরো চওড়া হচ্ছে। আর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেই শূণ্যতা যেন আরো বেশি করে ফুটে উঠছে।
থেক্কাডি
'গডস ওন কান্ট্রি' কেরলের অন্যতম সেরা ও পরিচিত স্থান হিসাবে ক্রমেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে থেক্কাডি। সারা বিশ্বেই এই জায়গাটির জনপ্রিয়তা ক্রমেই
ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স ন্যাশনাল পার্ক
উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত এই ইকোলজিক্যাল জায়গাটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
কোভালম
কেরলের তিরুবনন্তপুরম থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কোভালম সমুদ্র সৈকতটি কেরলের অ্যতম সেরা। প্রকৃতি যেমন তার রূপের ডালি নিয়ে দু'হাতে পর্যটকদের স্বাগত জানায় এখানে।
ম্যাকলড গঞ্জ
হিমাচল প্রদেশের কাংরা জেলায় অবস্থিত এই শহরটিকে ধর্মশালা শহরের 'ক্ষুদ্র সংস্করণ' বলা যেতে পারে। সারাবছরই এই জায়গাটিতে পর্যটকেরা ভিড় করে থাকেন।
কোনারক সূর্য মন্দির
ওড়িশায় অবস্থিত কোনারকের সূর্য মন্দির প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্যের এক অনন্য দলিল। বর্তমানে এই মন্দিরটিতে কিছুটা ভাঙন ধরেছে। তবুও এর স্থাপত্য অবাক করার মতো।