লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা, বন্ধ হতে পারে কোন ব্যবসা?
লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা, বন্ধ হতে পারে কোন ব্যবসা?
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে প্রায় স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্বের সবকটি আক্রান্ত দেশেই লাগু করা হয়েছে লকডাউন। এর প্রভাব অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি ক্রীড়া মহলেও পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অবস্থা আরও শোচনীয় হওয়ার আশঙ্কা।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব
বিশ্বব্যাপী ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে দুই লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের। ভারতে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে নশো জনের।
লকডাউন
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তার মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। ফলে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে ঘরবন্দিই রয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে ক্রিকেটাররা। বন্ধ রয়েছে ক্রিকেট সহ অন্যান্য ক্রীড়া ইভেন্ট। ফলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে দেশের ক্রীড়া সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থাগুলি।
কত ক্ষতি
পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে গোটা মে মাস পর্যন্ত লকডাউন থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেখানেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন দেশের ক্রীড়া সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। তাদের বক্তব্য, মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্তই দেশে ক্রীড়া শিল্প রমরমিয়ে চলে। ফলে এই তিন মাসের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও, আরও একমাস অচলাবস্থা জারি থাকলে আর কিছু করার থাকবে না বলে জানিয়েছে দেশের ক্রীড়া সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। সেক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ক্রীড়া শিল্প ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখতে পারে বলে আশঙ্কা।
ক্রীড়া প্রস্তুতকারী সংস্থা
সাধারণত জলন্ধর এবং মিরাটে দেশের সবধরণের ক্রীড়া সরঞ্জাম তৈরি হয়। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে সেই সরঞ্জাম ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় রফতানি হয় বলেও জানানো হয়েছে। মিরাটেরই এসজি সংস্থা প্রতি বছর বিসিসিআই-কে ক্রিকেট বল সরবরাহ করে থাকে। সেই ব্যবসা থেকে আয়ের চল্লিশ শতাংশ মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে আসে বলে জানানো হয়েছে। তাই অচলাবস্থা জারি থাকলে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে দেশের ক্রীড়া সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থাগুলির।
'ধোনি-কুম্বলে অসাধারণ, তবে সেরা নেতা সৌরভ', সোজাসাপ্টা হর্ষ ভোগলে