অকল্যান্ডে গ্র্যান্ডহোমির হাউই, তা সত্ত্বেও শৃঙ্খলিত বোলিং-এ কিউইদের অল্পরানেই বেঁধে রাখল ভারত
অকল্যান্ডে দ্বিতীয় টি২০ নিউজিল্যান্ডকে ১৫৮ রানেই বেঁধে রাখল শৃঙ্খলিত ভারতীয় বোলিং আক্রমণ।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অকল্যান্ডে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্য়াট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা প্রত্যাশিতভাবে হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল তারা। কিন্তু এরপর গ্র্যান্ডহোমি (১৮ বলে ৫০) ও রস টেলর (৩৬ বলে ৪২) নিউজিল্যান্ড ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে দুর্দান্ত ডেথ-বোলিং-এর নমুনা রেখে কিউইদের ১৫৮ রানেই বেঁধে রাখল ভারত।
এদিন ইডেন পার্কের পিচে একেবারে শুরু থেকে সুইং পেয়েছিলেন ভুবনেশ্বর ও খলিল আহমেদ। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা সেইফার্টকে তাঁরা দুজনেই বার বার সুইংয়ে পরাস্ত করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভুবেশ্বরের বলে ১২ রান করেই তিনি প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর ক্রুমাল পাণ্ডিয়া আক্রমণে এসেই ফিরিয়ে দেন মুনরো (১২)-কেও।
এ দুই বল পরই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ডেরিল মিচেল (১) ডিআরএস-এর বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলবিডব্লু হয়ে যান। কিন্তু ক্রিুণাল ব্ল্যাক-ক্যাপসদের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন অষ্টম ওভারে উইলিয়ামসন (১৭ বলে ২০)-কে ফিরিয়ে। এর আগে পর্যন্ত দারুণ ছন্দে ব্য়াট করছিলেন কিউই অধিনায়ক। কিন্তু ক্রুমালের একচটি আর্মবলে এলবিডব্লু হন তিনি।
নিউজিল্যান্ডকে বিপন্মুক্ত করেন টেলর ও গ্র্যান্ডহোমি জুটির ৪৫ বলে ৭৭ রানের জুটি। একদিকে গ্র্যান্ডহোমির ব্য়াট থেকে একের পর এক বল হাউইয়ের মতো উড়ে গিয়েছে বাউন্ডারিতে (৪টি ছয়, ১টি চার)। অপর দিকে টেলরের ইনিংস ছিল ঝুঁকিহীন, জমাট।
গ্র্যান্ডহোমিকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডের গতিতে প্রথম ব্রেক টানেন হার্দিক। আর এরপর থেকে শেষের কয়েক ওভারে অসাধারণ বল করলেন ভুবি ও খলিল। দুজনেই পুরনো বল থেকে সুইং আদায় করেছেন। একের পর এক ইয়র্কার দিয়েছেন। ব্য়াটসম্য়ান মারার জন্য সরে গেলে বল তার আওতার বাইরে করেছেন। যার ফলে শেষ ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড মাত্র ৩৭ রান তুলতে পেরেছে।