'ফোর্বস ইন্ডিয়া'-র ধনী সেলিব্রিটিদের তালিকা: বলিউড তারকাদেরও পিছনে ফেললেন বিরাট
ফোর্বস ইন্ডিয়া-র ধনী সেলিব্রিটিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিরাট কোহলি! ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া।
মাঠের মতো, মাঠের বাইরেও সময়টা খুব ভাল যাচ্ছে বিরাট কোহলির। ফোর্বস ইন্ডিয়া ম্যাগাজিন সম্প্রতি ভারতের ধনী সেলিব্রিটিদের এক তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে আয়ের নিরিখে বলিউড তারকাদেরও পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিরাট। তালিকায় তাঁর আগে একমাত্র আছেন সলমান খান।
২০১৭ -এর তুলনায় বিরাটের এই বছরের আয় বৃদ্ধি তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। তবে সবচেয়ে বেড়েছে হার্দিক পাণ্ডিয়ার আয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম রয়েছে এই তালিকায়। এমনকী যাঁরা নিয়মিত টি২০আই দলের প্রথম একাদশেও সুযোগ পান না তাঁরাও জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের ধনীতম সেলিব্রিটিদের লিস্টে।
ভান্ডারদরা
পশ্চিমঘাট পর্বতের পাদদেশে প্রভরা নদীর তীরে পাহাড়, জলপ্রপাত, সবুজে ঘেরা এই স্থানে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিলেই মন ভালো হয়ে যাবে। শহরের ভিড় থেকে দূরে এই লেক ও পাশের জলপ্রপাত এখানকার প্রধান আকর্ষণ।
বিরাট কোহলি
কোহলির বর্তমান বাৎসরিক আয় ২২৮.০৯ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের থেকে বেড়েছে ১১৬.৫৩ শতাংশ! গত বছর এই তালিকায় বিরাট ছিলেন তিন নম্বরে। তাঁর পিছনেই আছেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার (আয় ১৮৫ কোটি)।
চক্রতা
উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের একটি ক্যান্টনমেন্ট শহর এই চক্রতা। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ট্রেকিং থেকে শুরু করে, প্যারাসেইলিং, রক ক্লাইম্বিং ইত্যাদির সুসব্যবস্থা রয়েছে এখানে। আর পাশাপাশি রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সালমান খান
এই মরযাদাপূর্ণ তালিকায় এইবছর প্রথম স্থানে আছেন সল্লু মিয়া। তাঁর এই বছরের আয় ২৫৩.২৫ কোটি টাকা। এই নিয়ে পর পর তিনবার তিনি এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। এই বছর রিলিজ করেছে রেস ৩ ও টাইগার জিন্দা হ্য়ায়-এর মতো তাঁর সুপার ডুপার হিট ছবি। এছাড়া টিভি আপিয়ারেন্স ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় তো আছেই। কাজেই তিনিই এই তালিকার প্রথমে থাকবেন, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই।
চিপলুন
মুম্বই গোয়া হাইওয়ের ধারে রত্নাগিরি জেলায় অবস্থিত এই চিপলুন শহরটি। মুম্বইয়ের কোলাহল ছাড়িয়ে এমন একটি জায়গায় উইকএন্ড কাটানোর মজাই আলাদা। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি গণপতি পুলে, কর্ণেশ্বর মন্দির, গুয়াঘর বিচ সবমিলিয়ে এই ছোট্ট শহরকে আরও মোহময়ী করে তুলেছে।
এবারই প্রথম
এই তালিকায় ক্রিকেটার হিসাবে এবারই প্রথম স্থান পেয়েছেন জসপ্রিত বুমরা ও মনীশ পাণ্ডে। ১৬.৪২ কোটি টাকা আয় নিয়ে বুমরা এই তালিকায় ৬০তম স্থানে রয়েছেন। আর মনীশের আয় ১৩.০৮ কোটি। তিনি রয়েছেন ৭৭তম স্থানে। দুজনেরই আয়ের প্রধান উৎস আইপিএল ও বিসিসিআই-এর কেন্দ্রীয় চুক্তি।
গাণ্ডীকোটা
অন্ধ্রপ্রদেশের পেন্নার নদীর তীরে একটি ছোট গ্রাম এই গাণ্ডীকোটা। পাথুরে এলাকা, সঙ্গে গহন অরণ্যই এই জায়গার ইউএসপি।
সবচেয়ে উন্নতি
ক্রীড়া জগতের সেলিব্রিটিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ২০১৭ সালে যেখানে তাঁণর আয় ছিল মাত্র ৩.০৪ কোটি টাকা, সেখানে এই বছর তাঁর আয় দাঁড়িয়েছে ২৮.৪৬ কোটি টাকা. শতাংশের হিসাবে আয় বেড়েছে ৮৩৬.১৮ শতাংশ! একলাফে অনেকটা আয় বেড়েছে ভুবনেশ্বর কুমারেরও। ২.৫৩ কোটি টাকা থেকে এই বছর ভুবির আয় ৫৮২.২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৭.২৬ কোটি টাকা। দুই সতীর্থর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ভারতীয় টেস্ট ওপেনার কেএল রাহুলও। ৩০৭.৯২ শতাংশ বেড়ে তাঁর আয় ৪.০৪ কোটি টাকা থেকে হয়েছে ১৬.৪৮ কোটি টাকা।
গরুমারা
গরুমারার জঙ্গল বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। গণ্ডার, হাতি ঢুকলেই দেখতে পাবেন সকলে। তবে পরিবারকে নিয়ে এর ভিতরে রাত কাটিয়েছেন কি? এই অভিজ্ঞতা একেবারে অনন্য, তাতে সন্দেহ নেই।
ঝাঞ্জেলি
হিমাচলপ্রদেশের এই জায়গাটি ট্রেকিংয়ের জন্য পরিচিত। দেবদারু ও ফার গাছে মোড়া এই অঞ্চলটি শীতের সময়ে অনন্য রূপ নেয়।
লেপচাজগত
দার্জিলিংয়ের কাছে খানিক অপরিচিত এই জায়গাটির শোভা কোনও দিক থেকে কম নয়। নিচে ওক-পাইনের জঙ্গল ও উপরে কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈসর্গিক রূপ, এককথায় অপূর্ব।
রোহরু
হিমাচলপ্রদেশে অবস্থিত এই জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫২৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই জায়গা সুন্দর রূপের পাশাপাশি আপেলের জন্যও বিখ্যাত।
সামসিং
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে সামসিং জায়গাটি থেকে পাহাড়ের ঢালে চা বাগান ছাড়াও জঙ্গল ও হিমালয়ের শোভা একসঙ্গে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
সিমলিপাল
ওড়িশার একটি অভয়ারণ্য এই সিমলিপাল। এর মধ্যেই রয়েছে দুটি সুদৃশ্য জলপ্রপাত। বাঘ, হাতি ইত্যাদি বাস এখানে। ঘন সবুজ অরণ্য ও ধূ ধূ সবুজ প্রান্তরে এলেই মন ভালো হয়ে যায়।