রানের পাহাড় ডিঙোতে না পেরে ইংল্যান্ডের কাছে ৩১ রানে হারল ভারত
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এদিন ৩১ রানে হারল ভারত। সাত নম্বর ম্যাচে এসে বিশ্বকাপে প্রথম হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এদিন ৩১ রানে হারল ভারত। সাত নম্বর ম্যাচে এসে বিশ্বকাপে প্রথম হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। এদিন ইংল্যান্ডের করা ৭ উইকেটে ৩৩৭ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ৩০৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ডকে নকআউট পর্বে যেতে হলে এদিনের ম্যাচ জিততে হতো। তবে ভারতের অবশ্য তেমন কোনও চাপ ছিল না।
চাপ সত্ত্বেও এদিন ইংল্যান্ড টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং দারুণ ব্যাটিং করে। এজবাস্টনের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অনবদ্য ব্যাটিং করেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো অনবদ্য শুরু করেন। রয় ৬৬ রানে ফিরে গেলেও বেয়ারস্টো অনবদ্য ১১১ রানের ইনিংস খেলেন।
তিন নম্বরে নামা জো রুট করে যান ৪৪ রান। তবে এদিন অধিনায়ক মর্গ্যান রান পাননি। করেন মাত্র ১ রান। একটা সময় মনে হচ্ছিল ভারত ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে কিছুটা ধস নামাতে পেরেছে। তবে লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে মাত্র ৫৪ বলে ৭৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে যান বেন স্টোকস। শেষদিকে জস বাটলারও ৮ বলে ২০ রান করে যান।
ভারতের হয়ে দুই ওপেনিং বোলার মহম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরা দারুণ বোলিং করেন। শামি ৬৯ রানে ৫ উইকেট নেন। এদিকে বুমরা ১০ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে দেন মাত্র ৪৪ রান। এদিকে ভারতের দুই স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদব অনেক বেশি রান খরচ করেন। কুলদীপ ১০ ওভারে দেন ৭২ রান। অন্যদিকে ১০ ওভারে চাহাল দেন ৮৮ রান। সবমিলিয়ে ৭ উইকেটে ৩৩৭ রান তোলে ইংল্যান্ড।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে একবার শুরুতেই শূন্য রানে ফেরত যান কেএল রাহুল। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি ইনিংস ধরে খেলতে থাকেন। খুব স্লো স্টার্ট করেন দুজনে। তবে একটা সময় খেলা দুজনেই ধরে নিয়েছিলেন। কোহলি অনবদ্য অর্ধশতরানের পর ৬৬ রানে ফিরে গেলেও রোহিত শর্মা এই বিশ্বকাপের তৃতীয় শতরানটি করে ফেলেন।
রোহিত করেন ১০২ রান। সেই সময় মনে হচ্ছিল ভারত হয়তো ভালোভাবে ম্যাচে ফিরে এল। কারণ তিনি আউট হওয়ার পর ক্রিজে তখন ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঋষভ পন্থ ও হার্দিক পান্ডিয়া জুটি। তবে পন্থ ৩২ রানে ও পান্ডিয়া ৪৫ রানে ফেরত যাওয়ার পর ভারত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। যদিও ততক্ষণে ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। শেষ ৫ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৭০-এর বেশি রান। তবে শেষ পাঁচ ওভারে ওঠে মাত্র ৩৯ রান। যার ফলে ম্যাচ হারতে হয় ৩১ রানে।
এদিন হারের ফলে ভারত সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রইল। এবং ইংল্যান্ড ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রইল। ইংল্যান্ডকে পরের ম্যাচে জিততেই হবে যদি নক আউট পর্বে যেতে হয়। অন্যদিকে পাকিস্তান ৮ ম্যাচে ৯ পয়েন্টে রয়েছে। পাকিস্তানকে পরের রাউন্ডে যেতে হয় তাহলে শেষ ম্যাচে যেমন জিততেই হবে, তেমনই ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড যদি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিতে পারে আর পাকিস্তান যদি শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারে, তাহলে চতুর্থ দল হিসেবে পাকিস্তানের শেষ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।