রোহিতের শতরান ও বুুমরার ম্যাজিক বোলিংয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। এজবাস্টনের মাঠে টাইগারদের ২৮ রানে হারিয়ে দিল বিরাট কোহলির দল।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। এজবাস্টনের মাঠে টাইগারদের ২৮ রানে হারিয়ে দিল বিরাট কোহলির দল। প্রথমে টসে জিতে অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ভারত তোলে ৩১৪ রান। অনবদ্য শতরান করেন রোহিত শর্মা। এই নিয়ে এই বিশ্বকাপেই চারটি শতরান করে ফেললেন তিনি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ওপেনিং জুটি দারুণ শুরু করে। কেএল রাহুল ৭৭ রান করে ফেরেন। তবে অন্য প্রান্তে রোহিত ১০৪ রানের অনবদ্য শতরান করে যান।
এদিন কোহলি ভালো শুরু করেও ২৬ রানে ফিরে যান। চার নম্বরে নামা ঋষভ পন্থ ৪৮ রান করে ফেরেন। হাতছাড়া হয় অর্ধশতরান।
এই সময়ে ভারতের রানের গতি কিছুটা থমকে যায়। হার্দিক পাণ্ডিয়া শূন্য রানে ফেরেন। শেষদিকে ধোনি ৩৫ করে দলকে তিনশো রানের গণ্ডী টপকে দেন। সবমিলিয়ে ৯ উইকেটে ৩১৪ রানে থামে ভারত।
তিনশোর বেশি রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ভদ্রস্থ শুরু করে। একেবারে শুরুতেই তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন শামি। ২২ রানে তামিম ফিরে গেলেও অন্য প্রান্তে থাকা ওপেনার সৌম্য সরকার ৩৩ রান করেন। তিন নম্বরে নামা শাকিব আল হাসান ফের একবার অনবদ্য ব্যাটিং করে আরও একটি অর্ধশতরান করলেন এই বিশ্বকাপে।
শাকিব করেন ৬৬ রান। চার নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম ২৪ করে ফেরেন। পাঁচ নম্বরে নামা লিটন দাস করেন ২২ রান। এই সব ব্যাটসম্যানই ভাল শুরু করেও বড় রান করতে না পেরে ফিরে যান। যখন মনে হচ্ছিল ভারত সহজে ম্যাচ জিতে যাবে, সেই সময় লোয়ার মিডল অর্ডারে সাব্বির রহমান ও মহম্মদ সইফুদ্দিন দারুণ প্রতিরোধ গড়েন। সাব্বির ৩৬ রান করে ফেরত গেলেও সইফুদ্দিন ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন।
তবে অন্য দিক থেকে পরপর উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে পরপর রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে ফিরিয়ে দেন বুমরা। এদিন ফের একবার ডেথ ওভারে অনবদ্য বোলিং করলেন বুমরা। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়াও ভালো বোলিং করেছেন। বুমরা চারটে ও পান্ডিয়া তিনটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি ও যুজবেন্দ্র চাহাল। এদিন জেতার ফলে ভারত ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল।