সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে রইল পাকিস্তান, সরফরাজদের চেপে ধরেও হারতে হল আফগানিস্তানকে
তিন উইকেটে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিল পাকিস্তান।
ভারতের পর পাকিস্তানকেও প্রায় হারিয়ে দিতে চলেছিল আফগানিস্তান। তবে হেডিংলের মাঠে ইতিহাস ছুঁয়ে দেখা হল না। জিততে জিততে আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে বসল পাকিস্তানকে। আর পাকিস্তানও রূপকথার মতো তিনটি ম্যাচ পরপর জিতে সেমিফাইনালে দৌড় অব্যাহত রাখল। তিন উইকেটে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিল পাকিস্তান।
এদিন টসে জিতে আফগান অধিনায়ক গুলবদিন নায়িব প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সেভাবে বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি আফগানরা। ১৫ রানে ফেরত যান নায়িব। তিন নম্বরে নামা শাহিদি প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন।
ওপেন করতে নামা রহমত শাহ ৩৫ রান করে যান। মিডল অর্ডারে আফগান স্টানিকজাই ৪২ রান করেন। একেবারে শেষ দিকে জাদরানও ৪২ রান করে আফগানিস্তানকে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে পৌঁছে দেন। অভিজ্ঞ পাকিস্তান এই রান সহজেই তুলে ফেলতে পারবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে আফগান বোলাররা দারুণ বোলিং করেন।
ফকর জামানকে শূন্য রানে ফেরান মুজিব উর রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে খেলা কিছুটা ধরে নিয়েছিলেন ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম। ইমাম ৩৬ ও বাবর ৪৫ রানে ফেরত গেলে ফের একবার নড়বড়ে ব্যাটিং করে মহম্মদ হাফিজ ১৯ রান করে ফেরত যান।
আগের ম্যাচগুলিতে পরপর দুটি অর্ধশতরান করা হারিস সোহেল করেন ২৭ রান। তবে পাকিস্তানকে মোক্ষম ধাক্কা দেয় অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের রান আউট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সরফরাজ ১৮ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন। তখন ম্যাচে কিছুটা জাঁকিয়ে বসেছিল আফগানিস্তান।
তবে মাথা ঠান্ডা রেখে ইমাদ ওয়াসিম ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন। ২ বল বাকী থাকতেই পাকিস্তান ম্যাচ জেতে। এদিন জেতার ফলে পাকিস্তান সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে রইল। আর একটি ম্যাচ তাদের খেলতে হবে। সেই ম্যাচটা খেলে জিতে গেলে পাকিস্তানকে নির্ভর করতে হবে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ এবং বাংলাদেশ ম্যাচের ওপর।
ভারত ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশকে যদি হারিয়ে দেয়, তাহলে পাকিস্তান পরের ম্যাচ জিতলে প্রথম চারে জায়গা করে নেবে। এখন দেখার রবিবার ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের ফলাফল কী হয়।