নাগপুর বোঝাল, জোরে বোলার নয় আরেক অলরাউন্ডার চায় ভারত! এটাই কেন সঠিক পদক্ষেপ, রইল ৫ যুক্তি
নাগপুরের ভারতীয় প্রথম একাদশ ইঙ্গিত দিচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ -এ চতুর্থ জোরে বোলারের বদলে ভারতের এক অলরাউন্ডার নিতে পারে। এটাই কেন সঠিক পদক্ষেপ, রইল এর ৫টি কারণ।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজই ভারতের বিশ্বকাপের দলের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ সুযোগ। কোহলি জানিয়ে দিয়েছেন, আইপিএল শুরুর আগেই দল বাছাইয়ের কাজ চুড়ান্ত করে ফেলতে চান। একই সঙ্গে দলের মূল অংশকে খুব বেশি নাড়াচাড়া করা হবে না বলা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে নাগপুর ওডিআই-তে ভারতের প্রথম একাদশ বাছাই কিন্তু যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ।
আশা করা হয়েছিল দ্বিতীয় ওডিআই-তে চতুর্থ জোরে বোলারের দৌড়ে থাকা সিদ্ধার্থ কল সুযোগ পাবেন। এছাড়া লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালও দলে ঢুকতে পারেন, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু, বদলে দল থাকল অপরিবর্তিত। খেলানো হল বিজয় শঙ্কর ও রবীন্দ্র জাদেজা দুজনকেই। ফলে বোঝা যাচ্ছে ভারত বিশ্বকাপে চতুর্থ জোরে বোলারের বদলে আরেকজন অলরাউন্ডার নিয়ে যেতে চাইছে।
বস্তুত, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক। জসপ্রিত বুমরা, মহম্মদ শামি ও ভূবনেশ্বর কুমারের পর আরও একজন জোরে বোলারের বদলে এক বাড়তি অলরাউন্ডার বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের জন্য বেশি কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন। নিচে এই সিদ্ধান্ত কেন সঠিক, তার পাঁচটি কারণ আলোচনা করা হল।
আফ্রিকার মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক
চতুর্থ ভারত-আফ্রিকা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক উপলক্ষ্যে আগত মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নির্ভরযোগ্য লোয়ার অর্ডারের অভাব
সাম্প্রতিককালে
বারত
৫
বিশেষজ্ঞ
বোলারে
খেলছে।
ফলে
সাত
নম্বরের
পরে
ব্য়াট
করার
মতো
নির্ভরযোগ্য
কেউ
থাকছেন
না।
ভারতের
টপ
অর্ডার
বিশ্বের
যে
কোনও
বোলিং
আক্রমণকে
ধ্বংস
করতে
পারে
ঠিকই,
কিন্তু
বড়
রান
তাড়ার
ক্ষেত্রে
বা
কোনও
দিন
টপ
অর্ডারের
সবাই
ব্যর্থ
হলে
লম্বা
লেজ
কিন্তু
বিপদ
ডেকে
আনতে
পারে।
মহরম
আজ মহরম। সেই উপলক্ষ্যে শ্রীনগরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রথম পাঁচে বোলিং বিকল্পের অভাব
অতীতে ভারতীয় দলে পার্টটাইম বোলারের অভাব ছিল না। সচিন-সৌরভ থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে যিবরাজ সিং, সুরেশ রায়না, সেওয়াগরা - সবাই বলটাও খারাপ করতেন না। কিন্তু বর্তমান দলে, শিখর দাওয়ান ল করতে পারেন না, রোহিত-বিরাট শেষ করবে বল করেছেন, তাঁদেরও বোধহয় মনে নেই। রায়ডুর বল করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই অবস্থায় দলের ভারসাম্য রাখতে এক ব্য়াটসম্য়ান কমিয়ে এক অলরাউন্ডার খেলানো উচিত।
এইমসে দুর্ঘটনা
দিল্লিতে এইমস হাসপাতালের বাইরে গার্ড রুমে ট্রাকের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু।
হার্দিক ও কেদারের ব্যাকআপ
বিশ্বকাপের ভারতীয দলে দুই অলরাউন্ডারের জায়গা পাকা - হার্দিক পাণ্ডিয়া ও কেদার যাদব। কিন্তু সমস্য়া হল, হার্দিকের চোট এখনও সাড়েনি। বিশ্বকাপে কতটা সুস্থ থাকতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কেদার যাদবেরও হ্য়ামস্ট্রিং কখন বিদ্রোহ করবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাই প্রথম একাদশে যদি নাও খেলানো হয়, তাহলেও এই দুই অনিশ্চিত অলরাউন্ডারের ব্য়াকআপ হিসেবেও আরেক অলরাউন্ডার নিয়ে যাওয়া উচিত।
ফের পাক
ফের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে গোলাগুলি করল পাকিস্তান সেনা। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।
ধারাবাহিকার অভাব
ভারত এখনও পর্যন্ত চতুর্থ জোরে বোলারের সন্ধানে, খলিল আহমেদ, সিদ্ধার্থ কল, উমেশ যাদব, মহম্মদ সিরাজকে খেলিয়েছে। উমেশ সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য যতার্থ নন। সিদ্ধার্থ কল বা মহম্মদ সিরাজ বলার মতো কিছু করে উঠতে পারেননি। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা ছিল খলিলের। একে তিনি বাঁ-হাতি, তার উপর বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রভাবিত করার মতো পারফর্মও করেছেন তিনি। কিন্তু একেবারেই ধারাবাহিক নন। এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো জায়গায় আসেননি।
ভালই করেছেন বিকল্পরা
চতুর্থ জোরে বোলারদের ব্যর্থতার পাশাপাশি কিন্তু সুযোগ পেলেই বেশ ভাল পারফর্ম করেছেন ভারতের দুই বিকল্প অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ও বিজয় শঙ্কর। এশিয়া কাপেস প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ভুল কিছু করেননি জাদেজা। প্রতি ম্য়াচে ১০ ওভার বল করতে পারেন। তিনি থাকলে ফিল্ডিং-এ বাড়তি সুবিধা পায় ভারত। পাশাপাশি ব্য়াটেও চাপের মুখে বড় শট মারতে পারেন।
মাঠের বাইরের কারণে হার্দিক না থাকায় নিউজিল্যান্ডে সুযোগ পেয়েছিলেন বিজয় শঙ্কর। তিনি দেখিয়েছেন টপ অর্ডারে ব্যাট করতে তিনি স্বচ্ছন্দ। বল হাতে দারুণ কিছু না করলেও রান আটকাতে পারেন। তাঁর সাফল্যে দল বাছাইয়ের সমীকরণ পাল্টে গিয়েছে, বলেছিলেন নির্বাচক প্রধান।