অস্ট্রেলিয়া সফর ২০১৮-১৯, সিরিজ হবে স্লেজমুক্ত! বিরাট-অঙ্গীকারে হেসে গড়িয়ে পড়লেন জনসন
অস্ট্রেলিয়ার সফরের জন্য রওনা দিলেন বিরাট কোহলি-বাহিনী! তার আগে স্লেজ-মুক্ত সিরিজের অঙ্গীকার করলেন ভারত অধিনায়ক। তবে যদি অস্ট্রেলিয়া আগ্রাসী হয় তবে তা ফিরিয়েও দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর)-ই বিরাট কোহলি বাহিনী উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে প্রায় দুই মাস ধরে ৪টি টেস্ট ও ৩টি করে ওয়ানডে ও টি২০আই ম্যাচ খেলবে কোহলি বাহিনী। ভারত এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতলেও এখনও একবারও সিরিজ জিততে পারেনি।
বল বিকৃতির দায়ে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হওয়ায় অজি দলে নেই তাদের সেরা দুই ব্যাটার ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। তাই এবারের সফর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের রেক্ড উন্নতচ করার সবচেয়ে ভাল সুযোগ বলে মনে করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বোর্ড কর্তা ও সমর্থকরা - সবাইই।
তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দুই দল মুখোমুখি মানেই তো চরম উত্তেজনা। 'মাঙ্কি-গেট' থেকে বিরাটের মধ্যমা প্রদর্শন অনেক অক্রিকেটিয় বিতর্কিত ঘটনার সাক্ষী। তবে এইবার ব্যাতিক্রমী সিরিজ দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সত্যিই কি সিরিজ হবে স্লেজ-মুক্ত?
কন্যাকুমারী
তামিলনাড়ুতে অবস্থিত ভারতের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তের এই জায়গাটির প্রাকৃতিক শোভা এমনিতেই মনোরম। এই জায়গাটি ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গমস্থল। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত দেখা এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
হাত থাকতে মুখ নয়
অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে কোহলি অঙ্গীকার করেছেন, মাঠে আগ্রাসন দেখাবে তাঁর দল, তবে সবটাই ব্যাট কিংবা বল হাতে, মুখে নয়। তিনি জানিয়েছএন, তাঁর দলের ক্ষমতা সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। মাঠে তাঁরা যে ক্রিকেট খেলবেন, তাই অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জন্য যথেষ্ট হবে। বাক বিতন্ডায় জড়াতে হবে না। তবে অস্ট্রেলিয়া যদি স্লেজিং-এর আশ্রয় নেয়, তাহলে তাঁরাও পিছিয়ে থাকবেন না, জবাব দেবেন। তাঁর এই অঙ্গীকার অবশ্য হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন অজি পেসার মিচেল জনসন।
ভারকালা
কেরলের তিরুবনন্তপুরম জেলার সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত এই গ্রামটির শোভাই এককথায় অনন্য। এটাই কেরলের একমাত্র জায়গা যেখানে পাহাড় আর সমুদ্র এসে এক জায়গায় মিশেছে। এখানে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
জনসনের হাসি
ফক্স ক্রিকেট বিরাট কোহলির এই অঙ্গীকারের কথা জানাতেই হেসে গড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন অজি বাঁ-হাতি পেসার মিচেল জনসন। বিরাটের একটি ছবি দিয়ে তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ানরা আউট হলে বিরাট কতবার তাঁদের 'সেন্ড অফ' দেন তা তিনি গুনবেন। বিরাটের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বিরাটকে কানে হাত দিয়ে বিচিত্র ভঙ্গী করতে।
টাইগার হিল
বাঙালি মাত্রই দার্জিলিং ঘোরার বাসনা সবার মনের মধ্য়েই থাকে। আর কোথাও না যেতে পারলেও বাঙালি এই শৈলশহরে একবার ঘুরে আসেই। আর এখানকার মাউন্ট এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘার গা বেয়ে সূর্যোদয়ের দৃশ্য সবচেয়ে ভালো দেখা যায় টাইগার হিল থেকে। সাদা বরফের উপরে দিনের প্রথম সোনালি আলোর ছটা মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়।
বিরাট-জনসন দ্বৈরথ
এর আগে ২০১৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরেই মেলবোর্ন-এ এই জমৃনসনের সঙ্গেই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন কোহলি। স্ট্রাইকার প্রান্তে উইকেট বক্ষ্য করে একটি বল ছুঁড়েছিলেন জনসন। তা গিয়ে লাগে বিরাটের গায়ে। সেই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল। কোহলি পরে বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা প্রতিপক্ষকে সম্মান করে না।
পুরীর সমুদ্র সৈকত
বঙ্গোপসাগরের তিরে অবস্থিত পুরীর সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের সেরা আকর্ষণ। এখানকার জগন্নাথ মন্দির পৃথিবী বিখ্য়াত। একইসঙ্গে এখানকার সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখারও মজাই আলাদা।
ওসব ছেলেমানুষী এখন অতীত
জনসনের ঘটনা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অক্রিকেটিয় আচরণ করার ক্ষেত্রে কিন্তু বিরাটের যথেষ্টই দুর্নাম আছে। একবার উত্তেজিত কোহলিকে গ্যালারির উদ্দেশ্যে মধ্যমা প্রদর্শন করতেও দেখা গিয়েছিল। কোহলি অবশ্য জানিয়েছেন 'অল্প বয়সের অপরিণতি' নিয়ে তিনি আদৌ ভাবিত নন। এখন ভারতের ক্যাপ্টেন হিসেবে মাঠে দলকে জেতানো ছাড়া অন্য কিছু ভাবার তিনি সময়ই পান না। কাজেই মাঠে এখন আর কোহলির ওই সব আচরণ দেখা যাবে না। তাছাড়া এখন তাঁর নিজের ক্রিকেটিয় দক্ষতার উপর আস্থা আছে। জবাব যা দেওয়ার তাঁর ব্যাটই দেবে।
আগুম্বে
কর্নাটকের তির্থহল্লি তালুকে অবস্থিত আগুম্বে নামের গ্রামটি আরব সাগরের সৈকতে অবস্থিত। এই জায়গাটি দক্ষিণ ভারতের অন্যতম বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। এখান থেকেও সূর্যাস্ত দেখতে অসাধারণ লাগে।
অস্ট্রেলিয়ার ভোল বদল
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলও কিন্তু গত তাদের ক্রিকেট খেলার ধরণ পাল্টাতে উদ্যোগী হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগে এক বছরের জন্য ওয়ার্নার ও স্মিথ নির্বাসিত হওয়ার পর থেকেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দুনিয়ায় তাদের বদনাম দূর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে বর্তমান অধিনায়ক টিম পেইন ও কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার অজি ড্রেসিংরুমের সংস্কৃতি বদলানোয় হাত দিয়েছেন। মাঠে বিপক্ষকে স্লেজিং করার পথ থেকে তাঁরা সরে আসছেন।