অস্ট্রেলিয়া সফর ২০১৮-১৯: বাউন্সে স্বচ্ছন্দ! ভাল কিছু করতে তৈরি ভারত, জানালেন আত্মবিশ্বাসী রোহিত
ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মা বলেছেন, ভারত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের ছাপ রাখতে প্রস্তুত।
আর দুদিন পরেই গাব্বায় টি২০ ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে চলেছে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভাল কিছু করে দেখানোর জন্য আত্মবিশ্বাসী টিম ইন্ডিয়া। দলের অন্যতন ভরসা রোহিত শর্মা সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তারা তাঁদের ছাপ রেখে যেতে চান।
শুধু তাই নয়, এদিন রোহিত অস্ট্রেলিয় পিচ থেকে দলের অনুপ্রেরণা, তাঁর নিজের ফর্ম-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন।
ছবির দৈর্ঘ্য
বলিউড-টলিউডের আড়াই তিন ঘন্টার বইয়ের ভিড়ে মাত্র ১৪ মিনিটের এই ছবি একেবারে সতেজ হাওয়া। খেতে খেতে, অফিসে কাজের ফাঁকে, কলেজে দুটো ক্লাসের ইন্টারভেলে যখন তখন দেখে নিতে পারবেন এই ছবিটি। কারণ সময় লাগবে মাত্র ১৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
জয়ের উদগ্র ইচ্ছা
তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় তাঁরা দল হিসেবে ভাল কিছু করে দেখাতে চান। শেষবার অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজে ভারত দুটি টেস্টে হেরেছিল ও একটিতে ড্র করেছিল। কিন্তু রোহিতের মতে ফল দেখলে বোঝা যাবে না, দুটি দলের মধ্যে কতটা তুল্যমূল্য লড়াই হয়েছিল। অনেক ক্লোজ ম্যাচ তাদের হারতে হয়েছিল। এবার সেই লাইনটা টপকে যেতে চায় টিম ইন্ডিয়া।
স্টার কাস্টে প্রাধান্য নয়
সুজয় ঘোষ এছবিতে সেভাবে স্টারকাস্টে প্রাধান্য দেননি। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে নেওয়া হয়েছে রাধিকা আপটে ও টোটা রায় চৌধুরিকে। টৌটা এখন অভিনয় কম করেন, কিন্তু এই ছবিতে তিনি ছোট অথচ সাবলীল যে পারফরম্যান্সটি দিয়েছেন তাতে সুজয় ঘোষ যে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা প্রমাণ।
অন্যদিকে রাধিকা আপটে। অন্তহীন, বদলাপুর ছবিতে অভিনয়ের দক্ষতা দেখালেও সে অর্থে তারকা অভিনেত্রী নন রাধিকা। কিন্তু অভিনয় দক্ষতা যে তার রয়েছে তা তিনি আরও একবার অনায়াসে প্রমান করলেন।
এছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় নিয়ে আলাদা করে বলার কিছুই নেই।
দলের মেজাজ
ক্রিকেটের তিন সংস্করণের ভারতীয় দলই বেশ খোশ মেজাজে আছে বলে জানিয়েছেন ভারতের সীমিত ওভারের সহঅধিনায়ক। খেলার প্রতিটি মুহূর্ত জিতে নেওয়ার লক্ষ্যে নামবে ভারত। তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় ভাল খেলতে পারলে তা কিন্তু দলের উন্নতিতে সহায়ক হবে।
সুজয়োচিত রহস্য
সুজয় ঘোষের নিজস্ব একটা স্টাইল রয়েছে। কাহিনী ছবিতেও প্রথম দৃশ্য থেকে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত রহস্যময়তা বজায় রেখে গিয়েছিলেন সুজয়। এই ছবিতেও একই কায়দায় রহস্যের পরতে রহস্যে মুড়ে পেশ করেছেন তিনি। ছবি শেষ হয়েও যেন শেষ হয় না।
অস্ট্রেলিয় চ্যালেঞ্জ
অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলির মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে রোহিত বেথছে নিয়েছেন ব্রিসবেন ও পার্থ-কে। তাঁর মতে এই দুই মাঠের পরিস্থিতিই ভারতীদের ০জন্য সবচেয়ে কঠিন থাকে। আর প্রত্যেক সফরে তাঁদের হয় পার্থ নয়তো ব্রিসবেনে টেস্ট খেলতেই হয়। এইবার অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট খেলে উঠে পরের টেস্টেই ভারতকে খেলতে হবে পার্থ-এ। রোহিত জানিয়েছেন, সেখানকার পিচে অস্ট্রেলিয় দীর্ঘদেহী বোলাররা তাদের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।
অতিপ্রাকৃতিক উপাদান
এছবি যেন প্রাপ্তবয়স্কদের রূপকথার গল্প। এই ছবিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে (বলে দিলে দেখার মজাটাই চলে যাবে, তাই বলছি না।) যা শুনলে হাসি পায়, মনে হয় যত সব আজগুবি কাণ্ড। কিন্তু যতই যাই বলুন না কেন বাজি ধরতে পারি এই ১৪ মিনিটে নিজের জায়গা ছেড়ে উঠতে পারবেন না।
ভারতের প্রস্তুতি
রোহিত জানিয়েছেন উচ্চতার পার্থক্যের জন্যই ভারতের ব্যাটসম্যানরা সবচেয়ে মুশকিলে পড়েন পার্থের পিচে খেলতে। তবে এই দলের দু-একজন ব্য়াটসম্যান ছাড়া বাকিরা সবাই অস্ট্রেলিয়ায় আগে খেলেছেন। কাজেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যেসব বাড়তি চ্যাসেঞ্জ থাকে সে সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। রোহিত মেনে নিয়েছেন তারপরেও কাজটা করে দেখানো কঠিন। কিন্তু ভারতীয় দলের প্রত্যেক সদস্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে দাবি করেছেন তিনি।
রামায়নের চরিত্র ঘিরে
এই ছবির তিনটি চরিত্রই রামায়েণের থেকে নেওয়া। ঋষি গৌতম এখানে শিল্পী গৌতম সাধু। অহল্যা এখানে অপরিবর্তিত। দেবরাজ ইন্দ্র এখানে পুলিশ অফিসার ইন্দ্র সেন। আর রামায়ণ-মহাভারত পর্দায় আসুক বা বইয়ে চিরকালই 'বেস্টসেলার'। যতই আমরা এই কাহিনীর আভ্যন্তরীন রহস্য ভেদ করি না কেন তাও এগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষন কমে না।
রোহিতের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
রোহিত প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিলেন ২০০৭ সালে। ব্যক্তিগতভাবে সেই সফরচটা তাঁর ভালই গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন এই মুম্বইকর। তবে সেটা ছিল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তাঁর মতে আসল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে লাল বলের ক্রিকেটেই। তবে এই মুহূর্তে তিনি টেস্ট সিরিজ নিয়ে ভাবছেন না, আগে আছে টি২০ সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেখানকার বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই তাঁরা আগেভাগে এখানে এসেছেন বলে জানান তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি পিচে খেলতে তিনি সবসময়ই পছন্দ করেন। কারণ, মুম্বইতে তিনি কংক্রিট পিচে খেলে বড় য়েছেন। তাই বেশি উচ্চতার বলে তিনি স্বচ্ছন্দ।
যৌনতার রেশ কোনও অশ্লীলতা ছাড়াই
এই ছবিতে যৌনতা গল্পের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও, কোথাও অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ দৃশ্যের ব্যবহার করা হয়নি, পুরুষকে প্রলুব্ধ করার জন্য মহিলার শরীরে খোলামেলা পোশাও কখনও অশোভনীয় লাগেনি। অথচ পরিচালক যা বোঝাতে চেয়েছেন সেই বার্তা স্পষ্টভাবে পৌঁছিয়েছে দর্শকদের কাছে।
গল্প ও পরিবেশের অসাধরণ কনট্রাস্ট
রহস্য বোঝাতে কখনও সেই ক্লিশে স্যাঁতস্যাতে ঘরের কম আলো দেখানো হয়নি। সূর্যের উজ্জ্বল টোনের আলোতেই শুট করা হয়েছে ১৪ মিনিটের এই ছবিটি। যা অন্ধকারচ্ছন্ন কাহিনির দিকের সঙ্গে বৈপরীত্যের ভারসাম্য তৈরি করে দারুণভাবে।