বিশাখাপত্তনমে কেন হারল ভারত - পরাজয়ের ময়নাতদন্তে উঠে আসছে ৫ কারণ
বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি২০আই ম্যাচে ভারতের হারের ৫ কারণ।
রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০আই সিরিজের প্রথম ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে ভারত। এতদিন তেল দেওয়া যন্ত্রের মতো চলতে চলতে হঠাত প্রথমে নিউজিল্যান্ডে টি২০ সিরিজ ও পরে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই পরাজয়ে অনেক ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
কেউ দায়ী করছেন উমেশ যাদবের শেষ ওভার-কে। কেউ আবার কাঠগড়ায় তুলছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির ৩৭ বলে ২৯ রানের ইনিংস-কে। অবশ্যই এই দুই ক্রিকেটারের উপর পরাজয়ের দায় চাপানো যায়। কিন্তু, শুধু এই দুজনের ব্যর্থতাই ভারতের হারের কারণ ন। এর বাইরেও বেশ কিছু আশঙ্কাজনক কারণ রয়েছে। যা বিশ্বকাপেও ভারতের জন্য আশঙ্কার হয়ে উঠতে পারে।
রাহুল ছাড়া ব্যর্থ সবাই
রবিবারের ম্যাচে ভারতের পক্ষে একমাত্র ইতিবাচক দি কেএল রাহুলের রানে ফেরা। দীর্ঘদিন ফর্মে ছিলেন না তিনি। মাঠের খারাপ ফর্ম ও বাইরের বিতর্কে জড়িয়ে দল থেকেও বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে দুটি ভাল ইনিংসের সুবাদে দলে ফিরে এসেই অর্ধশতরান পেলেন তিনি। কিন্তু এদিন তিনি ছাড়া বারতের বাকি ব্য়াটসম্য়ানরা সবাই ব্যর্থ হন। এতদিন মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা ঢাকা পড়ত টপ অর্ডারর ব্য়াটিংয়ে। ঠিক বিশ্বকাপের আগে এসেই বেশ কয়েক ম্যাচ ধরে কিন্তু কোহলি রোহিতের ব্যাটেও বড় রান দেখা যাচ্ছে না।
পন্থের রানআউট ও ভাঙন
কোহলি ও রাহুল ভারতকে একটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর পর পন্থ নেমেই রান আউট হয়ে যান। আর সেখানেই ঘুরতে শুরু করে ম্যাচ। বল ফিল্ডারকে অতিক্রম করার আগেই রান নেওয়ার জন্য দৌড়তে শুরু করেছিলেন তিনি। এই রকম ছোটখাট টেকনিককাল ভুল কিন্তু তিনি করেই চলেছেন। তাঁর পতনের পরই ধস নামে মিডল অর্ডারে।
খুচরো নিতে ব্যর্থ ধোনি
শেষ ৩ ওভার টেলএন্ডারদের নিয়ে খেলতে হয়েছে ধোনিকে। উল্টো দিকে ছিলেন চাহাল। ম্যাক্সওয়েল ও বুমরা দুজনেই জানিয়েছেন, উইকেট ব্য়াটিং-এর জন্য কঠিন ছিল। বল মারা যাচ্ছিল না। চাহালকে স্ট্রাইক না দিয়ে ধোনির নিজের কাছে স্ট্রাইক রেখে দেওয়াকেও সমর্থন করেছেন তাঁরা। কিন্তু অতীতে এই পরিস্থিতিতে ধোনিকে ফিল্ডারের ফাঁক খুঁজে খুচরো ২-৩ রান নিয়ে স্কোর বোর্ড সচল রাখতে দেখা গিয়েছে। রবিবার কিন্তু এই ফাঁক তিনি খুঁজে পাননি।
দুরন্ত ম্যাক্সওয়েল
ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন উইকেটেও ম্য়াক্সওয়েল ৪৩ বলে ৫৬ রান করেছেন। শুরুতে কিন্তু বুমরার ধাক্কায দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল অজিরা। সেখান থেকে ম্য়াক্সওয়েলের ইনিংসই তাদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
শেষ ওভারে উমেশ
এরপরেও ১৯তম ওবারে দারুণ বোলিং করে ভারতকে ম্য়াচে ফিরিয়ে এনেছিলেন জসপ্রিত বুমরা। কিন্তু শেষ ওভারে ১৪ রান আটকাতে পারেননি উমেশ যাদব। সমস্যা হল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বরাবরই রান বেশি দেওয়ার বদনাম রয়েছে তাঁর। ভারতের হাতে ৫ জন বোলিং বিকল্প ছিল, যার ৩ জন স্পিনার। ফলে শুরুতেই বুমরাকে দিয়ে এক ওভার অতিরিক্ত করাতে হয়। তাই শেষ ওভার উমেশের হাতে তুলো দেওয়া ছাড়া গতি ছিল না বিরাটের।