'আধা ক্যাপ্টেন' ধোনি ছাড়া কোহলি দিশাহারা! 'জঙ্গলি' পন্থ, 'সেরা' জাদেজা - বরাবরের ফর্মে বেদী
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারত সিরিজ পরাজয় প্রমাণ করে, কেন এমএস ধোনি ভারতীয় দলের 'অর্ধেক অধিনায়ক' এবং কেন আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯-এ বিরাট কোহলির তাঁকে প্রয়োজন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের সিরিজ হারের পর বিষেন সিং বেদী মনে করছেন শেষ দুই ম্যাচে ধোনির অনুপস্থিতি, ভারতের সিরিজ হারের অন্থতম কারণ। তাঁর মতে এখনও এই ভারতীয় দলে অর্ধেক অধিনায়কত্ব ধোনিই করে থাকেন। বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির তাঁকে লাগবেই।
বরাবরই ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিত বেদী। যা তিনি ঠিক মনে করেন তা প্রকাশ্যে বলতে দুইবার ভাবেন না বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতের এই পরাজয়ের পর সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওযা এক সাক্ষাতকারে, তিনি মুখ খুললেন ধোনি-কোহলি থেকে জাদেজা, পন্থ অনেক বিষয়েই। দেখে নেওযা যাক ঠিক কী বলছেন তিনি।
অনিল কাপুর
অনিল কাপুরের মতে অসহিষ্ণুতা সব আমলেই ছিল। ফলে সেই কথা বলে অ্যাওয়ার্ড ফিরিয়ে দেওয়া উচিত নয়।
প্রায় আধা অধিনায়ক
তিনি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন কেন শেষ দুই ম্য়াচে ধোনিকে বিশ্রাম দেওয়া হল? স্টাম্পের পিছনে, ব্য়াট হাতে, মাঠে অধিনায়কত্বের পরামর্শদানে - সব জায়গায় ধোনির অভাব অনুভূত হয়েছে। দ্যর্থহীন ভাষায় তিনি বলছেন ধোনি এখনও দলের অর্ধেক অধিনায়ক।
কমল হাসান
অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিতর্ক, আলোচনা চলতে পারে। তবে তার জন্য পদক ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। অন্য কোনও পথে বিরোধিতা চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
ধোনি জোয়ান হবে না
বেদী বলেছেন, এটা মেনে নিতেই হবে ধোনি আর আগের মতো খেলতে পারবে না। তবে ধোনি একেবারে থুরথুরেও নয়। দলের তাঁকে দরকার। বেদীর মতে দলের উপর ধোনি একটা শান্ত প্রভাব আছে। বিরাটেরও পাশে এমএসডি-কে লাগবে। বেদী জানিয়েছেন, ধোনিকে ছাড়া সদ্য সমাপ্ত সিরিজে বিরাটকে বেশ দিশাহারা লেগেছে।
হেমা মালিনী
বিজেপি সাংসদ তথা বলিউডের 'ড্রিম গার্ল' জানিয়েছেন, জাতীয় পদক ফিরিয়ে দেওয়া সঠিক কাজ নয়। বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাদেজাই শ্রেষ্ঠ
বর্তমান ভারতীয় টিম ম্য়ানেজমেন্ট যে ফিঙ্গার স্পিনারদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র রিস্ট স্পিনারদের খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ৭২ বছর বয়সী ভারতের এই কিংবদন্তি স্পিনার। তাঁর মতে জাদেজার থেকে ভাল অলরাউন্ডার বারতে কেউ নেই। কাজেই তাঁকে বসিয়ে একজন বাড়তি রিস্ট স্পিনার খেলানোটা যুক্তিযুক্ত নয় বলেই তাঁর মত।
অনুপম খের
শুধু অসহিষ্ণুতার বিরোধিতা করাই নয়, সহিষ্ণুতা বজায় রয়েছে এই সংক্রান্ত মিছিলেও পা মেলান তিনি। তাঁর কথায়, পদক ফিরিয়ে দেওয়া ব্যক্তিরা সরকারকে নয়, বিচারক ও দর্শকদের অপমান করেছেন যারা তাদের সিনেমা দেখেছেন।
পন্থ জঙ্গলি, শান্ত করতে হবে
চলতি সিরিজে পন্থের খেলা দেখার পর বেদীর অভিমত, পন্থ এখনও জঙ্গলি ঘোড়ার মতো। তাঁকে শান্ত করতে হবে। সাপোর্ট স্টাফদেরই সেই কাজ করা উচিত। কিন্তু ২৬৬ টেস্ট উইকেটের মালিক মুখে না বললেও স্পষ্ট ইঙ্গিত বর্তমান দলে সেই কাজ করার লোক নেই। পন্থ একই ভুল বারবার করে যাচ্ছেন। জানান, নির্বাচক প্রধান প্রসাদ-ও একজন উকেটরক্ষক ছিলেন। তিনিও এই দায়িত্ব নিতে পারেন।
বিদ্যা বালন
জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী বিদ্য়া তা ফিরিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। কারণ তাঁর মতে, এটা দেশের কাছ থেকে পাওয়া পদক, সরকারের থেকে পাওয়া নয়।
নির্বোধ টিম ইন্ডিয়া
ভারতের কিংবদন্তী এই প্রাক্তনের মতে বর্তমান ভারতীয় দলে ক্রিকেটিয় দক্ষতার অভাব না থাকলেও অভাব রয়েছে ক্রিকেট-বোধের। নইলে মোহালিতে অতভাল শুরু করেও বারত হারত না। তিনি জানিয়েছেন ক্রিকেট-বোধ পোক্ত না হলে যতই দক্ষতা থাকুক, তা কাজে লাগবে না।
সুপ্রিয়া পাঠক
একজন পদক ফেরানোর পরপরই সকলে পদক ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছেন। এটা করে কি লাভ হচ্ছে, ঘুরিয়ে প্রশ্ন করেছেন সুপ্রিয়া পাঠক।
মধুর ভান্ডারকর
মধুর ভান্ডারকরের মতে, জাতীয় পদক ফিরিয়ে দেওয়ার অর্থ নিজের পাশাপাশি টেকনিশিয়ান, দর্শক, জুরি মেম্বার ও সর্বোপরি মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করা।
রাইমা সেন
মুনমুন সেন মোদী সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। আর তাঁর মেয়ে রাইমা মনে করছেন পদক ফিরিয়ে অসহিষ্ণুতাকে কমানো যাবে না।