বৃথাই গেল কোহলির আরও এক রান তাড়া করা শতরান! ফের ব্যর্থ শিখর-রায়ডু, সিরিজে টিকে রইল অজিরা
রাঁচিতে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে ৩২ রানে জয়ী হল অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ের ফলে তাদের সিরিজ জয়ের আশা টিকে থাকল।
বিরাট শতরান করছেন, অথচ ভারত হারছে - একমটা সচরাচর ঘটে না। কিন্তু, শুক্রবার রাঁচিতে বিরাটের ৯৫ বলে ১২৩ রানের ইনিংসের পরও অস্ট্রেলিয়া ৩২ রানে জয়ী হল। বিরাটের ৪১টি শতরানের মধ্যে মাত্র ৮ বার এরকমটা ঘটল। কারণ তাঁর পরে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান বিজয় শঙ্করের ৩২। দারুণ বল করলেন কামিন্স (৩৭-৩) ও রিচার্ডসন (৩৭-৩)।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার ৩১৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়েছিল ভারত। নতুন বলকে দারুণভাবে ব্যবহার করেন দুই অজি জোরে বোলার প্য়াট কামিন্স ও ঝাই রিচার্ডসন। সপ্তম ওভারেই মাত্র ২৭ রানের মধ্যে ভারতের দুই ওপেনার ও আম্বাতি রায়ডুকে প্যাভিলিয়নে পাঠান তাঁরা। শিখর করলেন ১, রোহিত ১৪ ও রায়ডু ২।
এরপর ঘরের মাঠে তীব্র জয়-ধ্বনির মধ্যে ক্রিজে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু ধোনি (২৬) বৃহস্পতিবার নেটে যে পরাক্রম দেখাচ্ছিলেন তার থেকে মাত্র ১টি ছয় ছাড়া কিছুই ম্য়াচে দেখা গেল না। তাও অধিনায়াক বিরাটের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়ে ভাঙন রুখেছিলেন।
অবশ্য শুধু ধোনি একাই নন, কেদার যাদব (২৬), বিজয় শঙ্কর (৩২), রবীন্দ্র জাদেজা (২৪) - বাকি ব্যাটিং লাইন আপের কাউকেই রাঁচির অসমান পিচে স্বচ্ছন্দ লাগেনি। একদিকে একা লড়াই করছিলেন বিরাট কোহলি। ১টি ছয় ও ১৬টি চার মারেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু ৩৮-তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার বলে তিনি ফিরতেই ভারতের সব আশা ফুরিয়ে যায়।
প্রথম ইনিংসে ওপেনিং জুটিতেই অস্ট্রেলিয়া ১৯৫ রান করেছিল। ফর্মে ফেরেন অধিনায়ক ফিঞ্চ (৯৩), জীববনের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক শতরান পান খোয়াজা (১০৪)। ৩১ বলে ৪৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েলও। কিন্তু শেষের দিকে সেভাবে রান তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন ২৫-৩০ রান কম তুলেছে অজিরা। কিন্তু তাতেই ভারতকে মাত দিল তারা।