সামি-চাহলের বিষ ছোবলে ফিনিশিং টাচ কুলদীপের, ১৫৭ রানেই শেষ নিউজিল্যান্ড
ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে প্রথম একদিনের ম্যাচে দিশেহার নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। নেপিয়ারে আজ হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম একদিনের ম্যাচ। টসে জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্য়ান্ড।
ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে প্রথম একদিনের ম্যাচে দিশেহার নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। নেপিয়ারে আজ হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম একদিনের ম্যাচ। টসে জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্য়ান্ড। কিন্তু, শুরুতেই মহম্মদ সামির স্যুইং-এর সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করেন দুই কিউয়ি ওপেনার মার্টিন গাপ্তিল ও কলিন মার্নো। দুই ওভার শেষ হওয়ার এক বল আগেই গাপ্তিল-কে বোল্ড করে দেন সামি। এরপর খেলা চার ওভারে গড়াতেই সামি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান অপর ওপেনার কলিন মার্নো-কে।
যার জেরে ৪ ওভারের মধ্যেই ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। এরপর রস টেলর ও কেন উইলিয়ামসন আস্তে আস্তে কিউয়িদের খেলায় ফেরানোর কাজটা করছিলেন। কিন্তু এই সময় দুরন্তভাবে বোলিং চেঞ্জ ঘটান বিরাট। চাহালকে নিয়ে আসেন তিনি। রিস্ট স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহলকে সামলাতে না পেরে তাঁর হাতেই ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন রস টেলর। চাহল তাঁর পরের পরের ওভারেই কট অ্যান্ড বোল্ড করেন লাথাম-কে। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ তখন ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে। এরই মধ্যে ২৪ ওভারে বল করতে আসেন কেদার যাদব। তাঁর অফব্রেকের ফাঁদে পড়ে যাওয়া নিকোলাসের ব্যাট থেকে আসা বলকে দুরন্তভাবে ক্যাচে পরিণত করেন কুলদীপ যাদব। ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড যে চাপে তা বুঝে গিয়েছিলেন বিরাট। তাই ফের সামির হাতে বল তুলে দেন। অধিনায়কের আস্থায় যোগ্য মর্যাদা দিয়ে তিনি ফের কিউয়ি ব্যাটিং লাইনআপে আঘাত হানেন। মিচেল স্যান্টনার-কে এলবিডবলিউ করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। যার ফলে ২৯.৪ ওভারেই নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেট হারায়। এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে একমাত্র লড়াই করে যান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি অর্ধশতরানের গণ্ডিও পার করে ফেলেন। কিন্তু, তাঁরও লড়াই থামিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। ৩৪ ওভারের প্রথম বলেই কেন উলিয়ামসন-কে ক্যাচ আউট করেন কুলদীপ। উলিয়ামসনের লড়াকু ইনিংস সমাপ্ত হয় ৬৪ রানে।
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ব্য়াটিং লাইনআপ। টেল এন্ডাররা কেউ কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। উইলিয়ামসন আউট হতেই মাত্র ৮ রানে তিনটি উইকেট হারায় কিউয়িরা। কুলদীপ যাদবের গুগলির কাছে অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করেন তারা। যার জেরে ১২ ওভার বাকি থাকতেই নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ১৫৭ রানে শেষ হয়ে যায়। কুলদীপ ৩৪ ওভারে কেন উইলিয়ামসনকে আউট করার পর ওই ওভারেই ব্রেসওয়ালকে পষ্ণম বলে আউট করেন। সেই ওভারে আরও একটি নিতে পারলে কুলদীপ ওভার-হ্যাট্রিকের কৃতিত্ব অর্জন করতে পারতেন। তবে সেই কীর্তি আর ছোঁয়া হয়নি তাঁর। তবে, কুলদীপ তাঁর পরের ওভারে ফার্গুসন এবং পরের পরের ওভারে বোল্টকে আউট করে কিউয়িদের ব্যাটিং-এ যবনিকা টেনে দেন। যার জেরে ১২ ওভার খেলা বাকি থাকতেই ১৫৭ রানে শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কুলদীপ ৪, সামি ৩, চাহল ২ ও কেদার যাদবের সংগ্রহে ১ উইকেট আসে।