ধোনি-পুজারার থেকে এগিয়ে কোহলি! রবি শাস্ত্রী অবশ্য ছাপিয়ে গিয়েছেন সবাইকে
বিসিসিআই এই বছর খেলোয়াড়দের জন্য বেতন কাঠামো সংশোধন করেছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের বর্তমান বেতন জানুন।
ভারতে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আট থেকে আশি সবাই ক্রিকেটের ভক্ত। কাজেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রীড়া সংস্থা। তবে ক্রিকেটের এই জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখতে প্রত্যেক মুপূর্তে অসম্ভব প্রত্যাশার চাপ নিয়ে চলতে হয় ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের। তার উপর ১৩০ কোটির দেশ থেকে ১১ জনের দলে ঢোকাটাও সহজ কথা নয়।
এই সবকিছু মাথায় রেখে চলতি বছরে ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামো ঢেলে সাজিয়েছে বিসিসিআই। এতে এক ধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে তাদের বেতন। এখন ম্যাচ ফি ও অন্যান্য অর্থ পুরস্কার বাদ দিয়ে শুধু বেতন হিসেবেই ক্রিকেটাররা যে অর্থ পান তা দেখলে কিন্তু মাথা ঘুরে যাবে। বিসিসিআই থেকে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের আগে ৩টি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছিল, এইবার তারসঙ্গে একটি নতুন গ্রেড যোগ করা হয়েছে।
গ্রেড সি
যেসমস্ত ক্রিকেটার ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কিন্তু দলে নিয়মিত নন সেইসব ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছে গ্রেড সি-তে। এই গ্রেডের ক্রিকেটারদের বেতন বছরে ১ কোটি টাকা করে। এই গ্রেডে আছেন - সুরেশ রায়না, কেদার যাদব, মনিষ পাণ্ডে, করুণ নায়ার, অক্ষর প্যাটেল, পার্থিব প্যাটেল ও জয়ন্ত যাদব।
গ্রেড বি
এই গ্রেডে আছেন যাঁরা অন্তত একটি ফর্ম্যাটের দলে নিয়মিত সুযোগ পান সেইব ক্রিকেটাররা। এঁদের বার্ষিক বেতন ৩ কোটি টাকা। এই গ্রেডে আছেন - লোকেশ রাহুল, উমেশ যাদব, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল. হার্দিক পাণ্ডিয়া, ইশান্ত শর্মা, দীনেশ কার্তিক ও মহম্মদ শামি।
গ্রেড এ
এ গ্রেডে আছেন টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্যরা। একমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট দলের সদস্য না হয়েও এই গ্রেডে রয়েছেন। বার্ষিক বেতন ৫ কোটি টাকা। ধোনি ছাড়া এই গ্রেডে আছেন - আজিঙ্কা রাহানে, মুরলি বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা।
গ্রেড এ প্লাস
এই এলিট গ্রুপে আছেন মাত্র ৫ জন ক্রিকেটার, যাঁরা ভারতের হয়ে তিন ধরণের ক্রিকেটেই নিয়মিত সুযোগ পান। এই ৫ জন হলেন - বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, ভূবনেশ্বর কুমার, ও জসপ্রিত বুমরা। তাঁদের বেতন বছরে ৭ কোটি টাকা।
সবার আগে রবি
২০১৭ সালে ভারতের জাতীয় কোচ হিসেবে নিয়োগের সময় রবি শাস্ত্রির সঙ্গে বার্ষিক ৮ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল বিসিসিআই। ফলে রবিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনপ্রাপ্ত ক্রিকেট কোচ হন। গত জুলাই মাসে বোর্জের দেওয়া এক হিসেব অনুযায়ি প্রত্যেক মাসে ৬৩ লক্ষ টাকার মতো দেওয়া হয় শাস্ত্রীকে। তাঁর আগের কোচ অনিল কুম্বলে নিতেন ৬.৫ কোটি।
এটা ঠিকই যে বর্তমানে গ্রেড ভাগের শর্ত অনেক ক্রিকেটারই পালন করতে পারেননি। যেমন শিখর ধাওয়ান বাদ পড়েছেন টেস্ট দল থেকে। কিন্তু এই সংশোধিত কাঠামোতে গ্রেড ভাগ হয় এক বছরের জন্য। এক বছর পর পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে ফের ক্রিকেটারদের বিভিন্ন গ্রেডে রাখা হবে।