ইংল্যান্ডে বোলিং ব্যর্থতা, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে মহম্মদ আমির
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ম্যাচে বোলিং বিপর্যয়ের জেরে তাদের বিশ্বকাপ দলে মহম্মদ আমিরকে অন্তর্ভূক্ত করল পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ম্যাচে বোলিং বিপর্যয়ের জেরে তাদের বিশ্বকাপ দলে মহম্মদ আমিরকে অন্তর্ভূক্ত করল পাকিস্তান। বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলারের অভিজ্ঞতা ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে কাজে আসবে বলেই মনে করে পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ড।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইংল্যান্ডে বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠে কড়া চ্যালেঞ্জ সামলাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের দাপটে পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৭৩ রান তুললেও, বোলিং ব্যর্থতায় ম্যাচ জিতে যান ইয়ন মর্গ্যানরা। দুই দলের মধ্যে প্রথম একদিনের ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে ফের কামাল দেখান পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ইংল্যান্ডের পর্বত-প্রমাণ ৩৭৩ রান তাড়া করে ৩৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছন তাঁরা। ১৩৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ফাখার জামান। তবু কোথাও যেন মনে হয়, বোলাররা কিছুটা ইকোনমিক হলে ওই ম্যাচ পাকিস্তানের দখলে থাকলেও থাকতে পারত।
পরের ওয়ান ডে-তে প্রথমে ব্যাট করে ইমাম-উল-হকের ১৫১ রানের ঝকঝকে ইনিংসের দৌলতে ইংল্যান্ডকে ৩৫৯ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। কিন্তু জুনেইদ খানদের বেহিসেবি বোলিংয়ে জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়রা ২৫ বল বাকি থাকতেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যান। এরপরেই সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন এই পাকিস্তান দলে বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার মহম্মদ আমিরের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন সেদেশের নির্বাচকরা।
শেষ দুই মরশুমে খারাপ ফর্মের জন্য পাকিস্তানের বিশ্বকাপগামী প্রাথমিক দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল অভিজ্ঞ মহম্মদ আমিরকে। সম্প্রতি চিকেন পক্সে ভুগছেন এই বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার। এত কিছুর পরেও আমিরকে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে রাখার সিদ্ধান্ত কতখানি যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ইংল্যান্ডে মহম্মদ আমিরের দুরন্ত ক্যামব্যাক নিয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী পাকিস্তান দলের অধিনায়ক সারফারাজ আহমেদ, কোচ মিকি আর্থার ও প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর দুটি ম্যাচেই অর্ধ-শতরান করা ব্যাটসম্যান আসিফ আলিকেও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে বলেই খবর।