বিশ্বকাপ ফাইনালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের 'বন্দেমাতরম' ভুলবেন না ধোনি
বিশ্বকাপ ফাইনালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের 'বন্দেমাতরম' ভুলবেন না ধোনি
ভারতকে ২০০৭-র টি-টোয়েন্টি ও ২০১১-র ৫০ ওভার ক্রিকেটের বিশ্বকাপ দেওয়া মহেন্দ্র সিং ধোনি যে দেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক, তা মেনে নেন প্রত্যেকে। ২০১৯-র বিশ্বকাপের পর নিজেকে ক্রিকেট থেকে সরিয়ে রাখা মাহি আবার কবে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দেবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও সব ধন্দের অবসান ঘটিয়ে এমএস নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি কবে আবার ক্রিকেটে ফিরছেন। একই সঙ্গে নিজের ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের দুটি স্মরণীয় মুহূর্তের কথাও প্রকাশ্যে জানিয়েছেন ধোনি।
১) ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছিল প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। ওই টুর্নামেন্টে দেশের সব সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে, তরুণ এমএস ধোনি নেতৃত্বাধীন অনভিজ্ঞ টিম ইন্ডিয়াকে পাঠানো হয়েছিল। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত।
ট্রফি জয়ের পর দেশে ফেরা ভারতীয় দলকে বীরের মর্যাদা দিয়েছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। হুড খোলা বাসে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে মেরিন ড্রাইভের রাস্তা ধরে এগিয়ে চলা ভারতীয় ক্রিকেটারদের ছেঁকে ধরেছিলেন মানুষ। খালি মাথা আর মাথা। সেই মুহুর্ত তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরণীয় বলে জানিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
২) ১৯৮৩-র পর ৫০ ওভারের ফর্ম্য়াটে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিততে ২৮ বছর অপেক্ষা করতে হয় ভারতকে। ২০০৩ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া ফাইনালে পৌছেও ফিরে খালি হাতে ফিরে এসেছিল। এর আট বছর পর অর্থাৎ ২০১১ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছয় এমএস ধোনি নেতৃত্বাধীন ভারত।
মুম্বই-র ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হয়েছিল ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতেছিল ভারত। সেই ম্যাচের নায়ক তথা অধিনায়ক ধোনি জানিয়েছেন, তখনও শ্রীলঙ্কার রান টপকাতে ১৫ থেকে ২০ রান বাকি। ব্যাট করছিলেন তিনি ও যুবরাজ সিং। সেই সময় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দর্শকরা যেভাবে উঠে দাঁড়িয়ে 'বন্দেমাতরম' গেয়েছিলেন, সেই মুহূর্ত তিনি ভুলবেন না বলে জানিয়েছেম এমএস।