হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড, ২৮৫ তুললেন অজিরা
একে বিশ্বকাপে মুখোমুখি দুই চিরশত্রু, তার উপর ঐতিহাসিক লর্ডস - ম্যাচের পারদ যে তুঙ্গে থাকবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ব্যাট-বলের লড়াইও সেই উষ্ণতা সুলভই হয়েছে।
শুরুটা অস্ট্রেলিয়ার হলেও শেষটা করল ইংল্যান্ড।
একে বিশ্বকাপে মুখোমুখি দুই চিরশত্রু, তার উপর ঐতিহাসিক লর্ডস - ম্যাচের পারদ যে তুঙ্গে থাকবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ব্যাট-বলের লড়াইও সেই উষ্ণতা সুলভই হয়েছে বলে মনে করেন ক্রিকেট প্রেমীরা। অন্তত ম্যাচের প্রথম অর্ধে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলল না। সেই সঙ্গে এই বিশ্বকাপে আরও একটি সেঞ্চুরি নিজের নামে করলেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
৫০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া তুলল ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৫ রান। পিচের যা চরিত্র তাতে অজি বোলারদের কাছে এই রান ডিফেন্ড করা খুব একটা কঠিন নয় বলেই মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তবে ইংরেজদের ব্যাটিং অজি বোলারদের কাজ কঠিন করে তুলতে পারেন বলেই ধারণা।
মেঘাচ্ছন্ন লর্ডসের পিচে হালকা আস্তরণ দেখে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। পরিস্থিতির সম্পূর্ণ ফায়দা নেওয়া ইংরেজ পেসারদের বিষাক্ত সুইংয়ের সামনে অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ প্রথম চার ওভার বিব্রত দেখাচ্ছিল। যখন তাঁরা খেলা ধরলেন ধীরে ধীরে ম্যাচের উপরও প্রভাব বিস্তার করলেন। ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ফিঞ্চের মধ্যে ১২৩ রানের পার্টনারশিপ হয়। ৫৩ রান করে আউট হন ওয়ার্নার।
এরপর উসমান খোয়াজার সঙ্গে জুটিতে ৫০ রান দলের খাতায় যোগ করেন ফিঞ্চ। ২৩ রান করে আউট হন খোয়াজা। শতরান পূর্ণ করে আউট হন অধিনায়ক ফিঞ্চও। এরপর হঠাৎই যেন অস্ট্রেলিয়ার রানের গতিতে ভাঁটা পড়ে। ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে ইংল্যান্ড। স্টিভ স্মিথ (৩৮) ও অ্যালেক্স ক্যারি (৩৮) কোনও মিডিল বা লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানই ইংরেজ বোলারদের জবাব দিতে ব্যর্থ হন।
ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২টি উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন জোফ্রা আর্চার, মার্ক উড, বেন স্টোকস ও মইন আলি।