ভারতের কাছে হারার পর এক সপ্তাহ জীবন নরক হয়ে গিয়েছিল, দেশে ফিরে বললেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ
খারাপ শুরু করেও এবারের বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের খুব হতাশ করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
খারাপ শুরু করেও এবারের বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত সমর্থকদের খুব হতাশ করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দল। যদিও শেষ অঙ্ক তাদের মেলেনি এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১১ পয়েন্ট পেয়ে লিগের ম্যাচ শেষ করলেও সেমি-ফাইনালের দৌড় থেকে তাদের ছিটকে যেতে হয় খারাপ নেট রান রেটের দরুণ। টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম পাঁচটি খেলায় মাত্র একটি জিতলেও পাকিস্তানের পঞ্চম স্থান তাদের দেশের মানুষকে খুব হতাশ করবে না।
'চেষ্টা করেছিলাম নেট রান রেট ভালো করতে কিন্তু পিচ সহায় ছিল না'
অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ রবিবার সকালে ইংল্যান্ড থেকে ফেরেন স্বদেশে এবং নিজের শহর করাচিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন নেট রান রেটের দিকটি তাঁদের মাথায় ছিল প্রথম ম্যাচের পর থেকেই এবং তাঁরা চেষ্টা করেন পরের খেলাগুলি বড় ব্যবধানে জিততে যাতে পিছিয়ে পড়া নেট রান রেটের মেরামতি করা যায়। কিন্তু সরফরাজের মতে, টুর্নামেন্টে পিচের চরিত্র তাঁদের কাজটি কঠিন করে দেয়।
ট্রেন্ট ব্রিজে এবারের বিশ্বকাপে তাঁদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তান মুখ থুবড়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। যে ক্যারিবিয়ানরা মাত্র দু'টি ম্যাচ জিতেছে এবারের টুর্নামেন্টে, পাকিস্তান তাঁদের বিরুদ্ধে মাত্র ১০৫ রানে অল আউট হয়ে সাত উইকেটে পরাজিত হয়। শেষ পর্যন্ত সেই ধাক্কা আর তাঁদের নেট রান রেট সামলে উঠতে পারেনি।
"বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়ে বাকি দেশের মতো আমরাও মর্মাহত। কেউ বিশ্বকাপে হারতে যায় না," বত্রিশ বছর বয়সী সরফরাজ বলেন প্রেস কনফারেন্সে।
প্রথম পাঁচটি ম্যাচে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন যে প্রথম ম্যাচে হারার পর পাকিস্তান কিছুটা মোমেন্টাম পেলেও (ইংল্যান্ডকে তারা হারায় ১৪ রানে) শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তাঁদের খেলা বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। সরফরাজ স্বীকার করেন এর পরে অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিরুদ্ধেও পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত সাদামাটা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে এবং চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন নিয়মে ৮৯ রানে হারে পাকিস্তান।
'ভারতের কাছে হেরে দু'দিন ব্রেক নিই আমরা'
"ভারতের কাছে হারার পরে এক সপ্তাহ ছিল দলের কাছে ভীষণ কঠিন এক সময়। আমরা দু'দিনের ব্রেক নিই ভারত ম্যাচ হারার পরে এবং তারপর দলের ১৫জনকে নিয়ে বৈঠক করি যেখানে ম্যানেজমেন্টের কেউ ছিল না। প্রথম পাঁচটি ম্যাচে তাঁরা কোথায় কোথায় ভুল করেছেন সরফরাজ তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেন দলের প্রত্যেক সদস্যদের সঙ্গে। তাঁরাও তাঁদের মতামত দেন।
এরপরই পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। পর পর তারা হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশকে যদিও নেট রান রেটের নিরিখে তারা শেষ চারের বাইরেই রয়ে যায়। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে তাদের হারাতে হত ৩১৬ রানে যা কার্যত অসম্ভব ছিল।
সরফরাজ জানান তিনি নিজে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছাড়তে রাজি নন যদিও তিনি এ ব্যাপারে অন্তিম সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছে তাঁর দেশের ক্রিকেট বোর্ডের উপরেই।