ঐতিহ্যের লর্ডস পাকিস্তান না দক্ষিণ আফ্রিকার, অপেক্ষায় বিশ্ব
২৩ জুন ঐতিহাসিক লর্ডসে বিশ্বকাপের ৩০তম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ততদিনে হয়তো অনেক হিসেব পাল্টে যাবে।
২৩ জুন ঐতিহাসিক লর্ডসে বিশ্বকাপের ৩০তম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ততদিনে হয়তো অনেক হিসেব পাল্টে যাবে। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, দুই দল যখনই মুখোমুখি হয়েছে রোমাঞ্চক মোকাবিলার সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯২ সালের পর থেকে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ৭৮টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে ৫০ বার জিতেছে প্রোটিয়ারা। মাত্র ২৭ বার জিতেছে পাকিস্তান। একটি ম্যাচ অমীমাংসীত ভাবে শেষ হয়। এমনকী বিশ্বকাপেও জয়ের নিরিখে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-১-এ এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই এবারের বিশ্বকাপে সারফারাজ আহমেদের পাক একাদশ প্রোটিয়াদের হারাতে পারলে, মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে বলেই মনে করে ক্রিকেট বিশ্ব।
সম্প্রতি
চলতি বছরের জানুয়ারিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাদেরই মাটিতে ওয়ান ডে সিরিজ খেলে পাকিস্তান। ৫ ম্যাচের ওই সিরিজের ২-৩ ফলে হারে পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তান তার শোধ তুলতে পারবে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব।
১৯৯২-র বিশ্বকাপ
৮ মার্চ প্রথমবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান। ইমরান খানের দলকে ২০ রানে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। অ্য়ান্ড্রু হাডসনের ৫৪ এবং হ্যান্সি ক্রোনিয়ের ৪৭ রানের দৌলতে প্রথমে ব্যাট করে ২১১ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডার্ক-ওয়াথ লুইস মেথডে ২০ রানে হারে পাকিস্তান। ইমরান খানের দলের হয়ে ৪৪ বলে ৪৮ রান করেন ইনজামাম-উল-হক।
১৯৯৬-র বিশ্বকাপ
২৯ ফেব্রুয়ারির ওই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম। ওপেনার আমির সোহেলের ১১১ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ২৪২ রান তোলে পাক দল। ম্যাচটি ৩ উইকেটে জেতে হ্যান্সি ক্রোনিয়ের দল। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ড্যারেল কলিনান। ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রোনিয়ে।
১৯৯৯-র বিশ্বকাপ
৫ জুন ইংল্যান্ডের নটিংহামে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মইন খানের লড়াকু ৬৩ রানের ইনিংসের সৌজন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ২২১ রানের লক্ষ্য দেয় ওয়াসিম আক্রমের দল। পাক বোলিংয়ের দাপটে একসময় ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেখান থেকে জ্যাক কালিস (৫৪), লান্স ক্লুজনার (৪৬) এবং শন পোলকের (৩০) নাছোড় ব্যাটিংয়ে ম্য়াচটি ৩ উইকেটে জিতে নজির গড়ে প্রোটিয়ারা।
২০১৫-র বিশ্বকাপ
১৬ বছর পর ৭ মার্চ নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আবারও বড় মঞ্চে মুখোমুখি হয় দুই দল। টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডিভিলিয়ার্স। অধিনায়ক মিসবা-উল-হক (৫৬), সারফারাজ আহমেদ (৪৯) ও ইউনুস খানের (৩৭) লড়াইয়ের দৌলতে ২২২ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ডার্ক-ওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৯ রানে হারায় পাক একাদশ। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অধিনায়ক এবি ডিভিলিয়ার্স।