জীবাণুমক্ত হতে চলেছে ইডেন গার্ডেন্স, বাইশ গজে ক্রিকেট শুরু নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ
জীবাণুমক্ত হতে চলেছে ইডেন, বাইশ গজে ক্রিকেট শুরু নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাস নির্মূল করে জনজীবন কবে স্বাভাবিক হবে, তা এখনও জানা নেই। ভারতীয় খেলার দুনিয়াতেও বন্ধ তালা কবে খুলবে সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এবার ক্রিকেটারদের মাঠমুখী করার জন্যে মেডিকেল কমিটির সঙ্গে বৈঠক করল সিএবি।
দেশে খেলার দুনিয়া কতদিন বন্ধ
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশে খেলার দুনিয়া বন্ধ। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ধর্মশালায় প্রথম ওডিআই বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়ার পর লখনউ ও কলকাতায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওডিআই করোনা উদ্বেগের জন্যে ভেস্তে গিয়েছিল। সেই থেকেই করোনা ধাক্কার কারণে দেশে ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে।
ক্রিকেট শুরু নিয়ে আশাবাদী সিএবি
৩১ মে দেশে চতুর্থ দফার লকডাউন উঠছে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকলেও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আর ভাবা হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রিকেট শুরু করা নিয়ে ভাবছে সিএবি। বাংলা ক্রিকেট দলের অনুশীলন শুরু করা নিয়ে আশাবাদী সিএবি।
ডাক্তাররা কী বলছেন
সিএবির কর্তারা করোনা পরবর্তী সময় ক্রিকেট শুরু নিয়ে মেডিকেল কমিটির চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে চিকিৎসকদের দল বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
ইডেনকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে
ইডেনে বাংলা দলের ক্রিকেট অনুশীলন শুরু করার আগে গোটা চত্বরকে জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজেশন করতে হবে। ইডেনের ক্লাব হাউজ চত্বর থেকে নবনির্মিত ইনডোর, মাঠ, মাঠের বাইরের অংশ, গোটা চত্বরটিই স্যানিটাইজেশন করতে হবে। শৌচালয়গুলিকেও জীবাণু মুক্ত করতে হবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। এতে প্রথমেই করোনা ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বোলারদের জন্যে আলাদা বল
শুধু ইডেন স্যানিটাইজ করলেই চলবে না, ক্রিকেটাররা যারা অনুশীলনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের সরঞ্জামগুলিকে যথাযথভাবে স্যানিটাইজেশন করা বাধ্যতামূলক। বোলারদের প্রত্যেককে আলাদা বল দেওয়া হবে, যা তিনিই একমাত্র ব্যবহার করবেন। ডাক্তাররা এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন।
আইসোলেশন
কোনও ক্রিকেটার প্রস্তুতিতে অসুস্থ বোধ করলে তিনি ড্রেসিংরুমে সবার সঙ্গে ফিরে আসবেন না। আপতকালীন পরিস্থিতির জন্য একটা আলাদা আইসোলেশন রুম রাখা দরকার। ডাক্তাররা এমনই মনে করছেন। এতে কোনও ক্রিকেটারের সংক্রমণ হলে তা অন্যদের মধ্যে কোনওভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে না।
দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি
অনুশীলনে কোন ক্রিকেটার-কোর্চ-সার্পোট স্টাফের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলে তাকে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি করার উচিত বলে ডাক্তাররা মনে করছেন।
বলে থুতু
আইসিসি আগেই করোনা পরবর্তী ক্রিকেট শুরুর জন্য গাইডলাইন জানিয়েছে। সেই মতো এখন থেকে বলে ঘাম বা থুতু ব্যবহার করা যাবে না।
সামাজিক দূরত্ব
ক্রিকেটের প্রস্তুতি শুরু হলে মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মাঠে ঢোকার সময় প্রতিদিন প্রত্যেক ক্রিকেটারের থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। এতে করোনা সংক্রমণ হলেও প্রাথমিক পর্যায়েও তা ধরা পড়বে।