নিজের ১১ বছর আগের হ্যাটট্রিক নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা, জানালেন অনুভূতি
নিজের ১১ বছর আগের হ্যাটট্রিক নিয়ে ফের কী বললেন রোহিত শর্মা
এখন যে রোহিত শর্মাকে ব্যাট হাতে বাইশ গজ কাঁপাতে দেখা যায়, তিনি কখনও বোলারও ছিলেন। স্পিনার রোহিত নিয়েছিলেন হ্যাটট্রিক। মঞ্চ ছিল আইপিএল। সেই মুহূর্ত ভোলা সম্ভব নয়। আর হিটম্যানের কাছে তো সেই হ্যাটট্রিক ছিল ভেরি ভেরি স্পেশাল। এ ব্যাপারে কী বললেন রোহিত শর্মা, জেনে নেওয়া যাক।
আইপিএলের সূচনা
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে চার বার আইপিএল ট্রফি দেওয়া রোহিত শর্মা, টুর্নামেন্টের প্রথম তিন মরশুম ডেকান চার্জার্স দলের হয়ে খেলেছিলেন। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রোহিত শর্মার দল।
তরুণ রোহিত
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ২০০৭ সালে ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। সে বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রোহিত। ২০০৮-র আইপিএল নিলামে হিটম্যানের ব্যাপক দর উঠেছিল। তাঁকে কিনে নিয়েছিল হায়দরাবাদের ফ্রাঞ্চাইজি।
রোহিতের হ্যাটট্রিক
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অ্যাডাম গিলক্রিস্ট নেতৃত্বাধীন ডেকান চার্জার্স। সেই টুর্নামেন্টেরই এক ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছিল ডেকান চার্জার্স। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তুলেছিল হায়দরাবাদের দল। ৩৬ বলে ৩৮ রান করেছিলেন রোহিত শর্মা। জবাবে ম্যাচের কঠিন মুহূর্তে হিটম্যানের হাতে বলও তুলে দিয়েছিলেন গিলক্রিস্ট। অধিনায়ককে নিরাশ করেননি হিটম্যান। নিজের বর্তমান দলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক সহ মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে ডেকান চার্জাসের জয় নিশ্চিত করেছিলেন রোহিত।
খুব লজ্জা করে
তিনি হ্যাটট্রিক নিয়েছেন, একথা ভাবলেই তিনি লজ্জিত হন বলে জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি কীভাবে ওই হ্যাটট্রিক নিলেন, তা তিনি এখনও বুঝে উঠতে পারেন না বলেও জানিয়েছেন হিটম্যান। তাঁর বক্তব্য, অনেক ছোট বয়সে আঙুলে চোট পাওয়ার কারণে তিনি ঠিক মতো বল গ্রিপ করতে পারেন না। তা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি হ্যাটট্রিক নিলেন, তা ভেবে তিনি বিস্মিত হন বলে জানিয়েছেন রোহিত। আসলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা বোলার রোহিতকে হাল্কা ভাবে নিয়েছিলেন বলে মনে করেন টিম ইন্ডিয়ার সহ অধিনায়ক।
শামির ওপর রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেন কুল বলেন, 'আমি তোমার অধিনায়ক, বোকা অন্য কাউকে বানিয়ো'!