রীতিকা-সামাইরা আমায় বাঁচতে শেখায়, বললেন রোহিত
ব্যাটে ২০১৯ সালটা দারুণ গিয়েছে। বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি, বছর শেষে ওপেনার হিসেবে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে মোট ১০টি সেঞ্চুরি। টেস্টে ওপেনার হিসেবে সাফল্য।
ব্যাটে ২০১৯ সালটা দারুণ গিয়েছে। বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি, বছর শেষে ওপেনার হিসেবে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে মোট ১০টি সেঞ্চুরি। টেস্টে ওপেনার হিসেবে সাফল্য। যারপর বেশ সুন্দর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন রোহিত হিটম্যান শর্মা। বছর শুরুতে বিশ্রামে থাকায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে বাইশ গজে নামছে না। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন রোহিত। স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে দারুণ খুশি রোহিত।
ছুটি মোডের মাঝেই এক ইন্টারভিউয়ে রোহিত বলেছেন, 'পরিবার আমাদের সারা বছর সার্পোট করে যায়। ওরাই আমাদের শক্তি। আমি আমার পরিবারের জন্য এখন সম্পূর্ণ নতুন একটা মানুষে পরিণত হয়েছি। আমার স্ত্রী রীতিকা ও মেয়ে সামাইরা রয়েছে। ওরাই আমার জগৎ। বাকি দুনিয়া আমায় নিয়ে কে কী বলল, সেই নিয়ে আর পাত্তা দিইনা।'
রোহিত আরও জুড়েছেন, ' সত্যি বলতে আগে সবকিছু মাথায় ঢোকাতাম। টেস্টে কেন সুযোগ পাচ্ছি না, ব্যাটে কোথায় টেকনিকে ভুল হচ্ছে! সব নিয়ে চিন্তা করতাম। এখন কেরিয়ারের ১২ বছর ক্রিকেট খেলে ফেলার পর আর ওসব নিয়ে আর ভাবিনা। টেকনিক নিয়ে এত খুঁতখুঁতে ছিলাম ম্যাচের পরদিন ভিডিও অ্যানালিস্টের সঙ্গে বসে পড়তাম। এতে খেলাটা উপভোগ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। সব সময় টেস্টে আমাকে ভালো কিছু করে দেখাতে হবে,এসব ভাবনা মাথা চাড়া দিতো।
এরপর মনকে বোঝাই, যা হবে মেনে নেব। টেকনিক নিয়ে আর চিন্তা করব না। দিনের শেষে সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে নেমে খেলাটা উপভোগ করার মধ্যেই আনন্দ রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজও অনেকে এটাই আমার শেষ সুযোগ বলেছিল দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময় নেগেটিভ চিন্তাকে মনে বসতে দিলে চলবে না। '
এখানেই না থেমে রোহিত বলেছেন, 'জুনিয়রদের মধ্যেও এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই। পন্থকে অনেকবার বলি। নিজের চারপাশে একটা দেওয়াল তুলে দেবে। লোককে কথা বলতে দাও। তুমি তোমার কাজটা করে যাও।'