খেলার মাঠেই সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং অবজ্ঞা করেছিলেন, প্রতিপক্ষের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন সচিন
খেলার মাঠেই সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং অবজ্ঞা করেছিলেন, প্রতিপক্ষের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন সচিন
১৯৯৮ সালে শারজাহ-তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচ চলাকালীন তিনি জীবনে প্রথম সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং-র নিয়ম ভেঙেছিলেন বলে জানিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। পাশাপাশি ওই মাঠেই অজিদের বিরুদ্ধে তাঁর ঐতিহাসিক ইনিংস নিয়েও সরব হয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া
১৯৯৮ সালে শারজাহ-তে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ভারত। ২৪ এপ্রিল হওয়া ওই ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। অজি শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছিলেন স্টিভ ওয়া ও ড্যারেন লেম্যান। ৬ উইকেটে ওই ফাইনাল জিতেছিল ভারত।
সচিনের জবাব
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৭৩ রানের লক্ষ্য ৪৮.৩ ওভারেই তুলে নিয়েছিল ভারত। সৌজন্যে সচিন তেন্ডুলকরের আরও একটি অনবদ্য ইনিংস। সেদিন ১৩১ বলে ১৩৪ করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। ২৫তম জন্মদিনে নিজেকে এবং দেশকে সেরা ইপহার দিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
২ দিন আগে
দুই দিন আগে একই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধ গ্রুপ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। সেদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৪ রান তুলেছিল অজি শিবির। মাঝে তুষার ঝড়ে খেলা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকায় ওভার কমিয়ে দেওয়া হয়। ৪৬ ওভারে ২৭৬ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয় ভারতের সামনে। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল।
লড়েছিলেন সচিন
ভারত হারলেও সেই ম্যাচ ১৩১ বলে ১৪৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ডেমিয়ান ফ্লেমিং, মাইকেল কাসপরভিচ, শেন ওয়ার্ন সম্বৃদ্ধ অস্ট্রেলিয় বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সচিনের সেই ইনিংসকে মরু-ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
সচিনের রাগ
ওই গ্রুপের ম্যাচে ভারতকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি সচিন তেন্ডুলকর। মরু ঝড়ের জন্য ভারতের সামনে যে টার্গেট খাড়া করা হয়েছিল, তা দেখে সেদিন রেগেও গিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর কথায়, মূল লক্ষ্যের থেকে মাত্র ৮-৯ রান কমানো হয়েছিল।
প্রথম মরু-ঝড়
সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছেন, শারজাহের ওই ম্যাচেই তিনি প্রথম মরু-ঝড় প্রত্যক্ষ করেছিলেন। মাস্টার ব্লাস্টারের কথায়, ভয়ঙ্কর ছিল সেই ঝড়। হাওয়ার বেগে তিনি উড়ে যাবেন বলে ভয় পেয়েছিলেন। সেই সময় ঠিক তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ভয়ে আশ্রয় হিসেবে তিনি গিলক্রিস্টের হাত ধরেছিলেন বলেও জানিয়েছেন সচিন। তাঁর কথায়, ওই প্রথম তিনি সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ভেঙেছিলেন।
চুনী গোস্বামীকে অমর করে রাখতে শহরের কোথায় বসতে পারে কিংবদন্তির মূর্তি