স্মৃতির সরণী ধরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছলেন সচিন তেন্ডুলকর, তারপর?
স্মৃতির সরণী ধরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছলেন সচিন তেন্ডুলকর, তারপর?
দুই দশকেরও আগের কথা। ভারতীয় ক্রিকেট দলে সবে নিজের ভিত পাকা করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে সচিন তেন্ডুলকর তখন জাতীয় দলের তারকা তথা অধিনায়ক। ঠিক সেই সময় পুরনো বন্ধু তথা বড়বাবুর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন ছোটবাবু। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে নৈশ্যভোজ সেরেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সেই মুহূর্তই স্মরণ করে নেটিজেনদের মন কেড়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
সৌরভ ও সচিনের জুটি
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে ব্যাট-প্যাড-গ্লাভস তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরও। তবু গত ১২ বছরে দুই রথির পার্টনারশিপের ধাঁরেকাছে পৌঁছতে পারেননি কেউ। ১৭৬টি ওয়ান ডে ইনিংস খেলে ৪৭.৫৫-র গড়ে জুটিতে ৮২২৭ রান তুলেছেন সচিন-সৌরভ। বিশ্বের অন্য কোনও জুটি ওয়ান ডে-তে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার রানই পেরোতে পারেনি। ওয়ান ডে-র ১৩৬টি ইনিংসে ওপেন করে ৪৯.৩২-র গড়ে জুটিতে ৬৬০৯ রান তুলেছেন সচিন ও সৌরভ। তাও বিশ্ব তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে।
বন্ধুত্ব অনেক পুরনো
১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ১৯৯২ সালে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। ১৯৯৬ সালে লর্ডসে অভিষেক টেস্টে শতরান করা মহারাজকে ড্রেসিং রুম থেকে কুর্নিশ করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। যদিও দুই ক্রিকেটারের বন্ধুত্বের শুরু সেখান থেকে নয়। জাতীয় স্তরে অনূর্ধ্ব ১৫ ক্রিকেট একসঙ্গে খেলার সৌজন্যে সচিন ও সৌরভের মধ্যে বন্ধুত্ব নিবিড় হয়েছিল। পরবর্তীকালে যা বজায় ছিল বাইশ গজে। রয়েছে এখনও। বহুকাল আগে এক সাক্ষাতকারে সচিন জানিয়েছিলেন, সেই পুরনো সম্পর্কের প্রেক্ষিতেই তিনি সৌরভকে দাদি বলে ডাকেন।
সৌরভের বাড়িতে সচিন
১৯৯৭ কিংবা ১৯৯৮ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে কলকাতায় এসেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। মাস্টার ব্লাস্টারকে যত্ন করে নিজের হাতের রান্না খাইয়েছিলেন মহারাজের মা। সেই মুহূর্ত মনের মণিকোঠায় সযত্নে লালন করে রেখেছেন সচিন।
সচিনের পোস্ট
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিন তেন্ডুলকর এক টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছেন। তাঁদের পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিসিসিআই সভাপতির মা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। লিখেছেন, ফিরে দেখা দাদির বাড়িতে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত। সেদিনের খাবার এবং অভ্যর্থনা তিনি উপভোগ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সচিন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মায়ের সুস্থতাও কামনা করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
করোনা উদ্বেগের মাঝে দেশে পৌঁছেও সাক্ষাৎ হল না, পরিবারের সদস্য হারালেন মোহনবাগান ফুটবলার