টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচের পদে আবেদন সুনীল যোশীর
টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচের পদে আবেদন সুনীল যোশীর
নিউজিল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ পদে পরিবর্তনের ডঙ্কা বাজে। দলের হেড কোচ পদে রবি শাস্ত্রী থাকবেন কী থাকবেন না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। একই সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোচের পদে যাঁরা ছিলেন তাঁরাই থাকবেন নাকি অন্য কেউ আসবেন তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা।
হেড সহ দলের অন্যান্য কোচিং বিভাগে চাকরির আশায় বিসিসিআই-র কাছে বহু আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচের পদে দেশের বাঁ-হাতি স্পিনার সুনীল যোশীর আবেদন। ওই পদে তাঁকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীই ধরা হচ্ছে।
-
--
--
--
--
--
--
--
--
--
-ছোট করে কেরিয়ার
কর্নাটকের মাইশোর থেকে উঠে আসা সুনীল যোশী ১৯৯৬ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে চাপান। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি টেস্ট এবং ওয়ান ডে-তে নীল শিবিরের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। ভারতের হয়ে ১৫টি টেস্টে ৪১টি উইকেট নিয়েছেন সুনীল। ওয়ান ডে-তে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৬৯। কর্নাটকের হয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৬১৫টি উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার।
কোচিং
খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে মনোনিবেশ করেন সুনীল যোশী। ঘরোয়া ক্রিকেটে হায়দরাবাদ ও জম্মু-কাশ্মীর দলকে কোচিং করিয়েছেন। ২০১৫ সালে ওমান ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচ নিযুক্ত হন যোশী। ২০১৬ সালে তিনি অসম ক্রিকেট দলের হোড কোচও নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কনসালটেন্ট পদে আসীন হন কর্নাটকী। ইংল্য়ান্ড বিশ্বকাপ পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলান। চলতি বছরে অল্প সময়ের জন্য আমেরিকা ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচের পদে নিযুক্ত হন সুনীল যোশী।
সাফল্য
২০১৪/১৫ মরশুমে সুনীলের কোচিংয়েই রঞ্জি ট্রফিতে শক্তিশালী মুম্বইকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্পিন বিভাগকে যথেষ্ট দাপটের সঙ্গে বল করতে দেখা যায়। শাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেনের সাফল্যের পিছনে কোচ সুনীল যোশীকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতা
এত সাফল্য সত্ত্বেও ভারতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং কোচের পদে সুনীল যোশীকে নির্বাচন করা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। কারণ শোনা যাচ্ছে, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নীল জার্সি গায়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিদের বোলিং কোচ ভরত অরুণের প্রতি আস্থাশীল বিসিসিআই।