কে প্রথম 'সচিন... সচিন' রব তুলেছিলেন, জানালেন মাস্টার ব্লাস্টার, মুখ খুললেন স্ত্রীকে নিয়েও
তিনি ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই শোনা যেত সেই গগনভেদী চিৎকার। বিশ্বের যে প্রান্তই হোক, সমবেত 'সচিন... সচিন' রবে গমগম করে উঠত স্টেডিয়াম।
তিনি ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই শোনা যেত সেই গগনভেদী চিৎকার। বিশ্বের যে প্রান্তই হোক, সমবেত 'সচিন... সচিন' রবে গমগম করে উঠত স্টেডিয়াম। তিনি খেলা ছাড়ার ছয় বছর পরেও সেই শব্দ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কানে এখনও আলোড়ন তোলে। সেই শব্দের উৎস কোথায়, তা নিজেই জানালেন মাস্টার ব্লাস্টার।
মায়ের থেকে শুরু
সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছেন, তাঁর নামে রব তোলা শুরু হয় শৈশব থেকে। তাঁর মা-ই প্রথম তাঁকে এভাবে ডাকতে শুরু করেন বলে জানান মাস্টার ব্লাস্টার।
৫ বছর থেকে শুরু
সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছেন, পাঁচ বছর বয়স থেকেই তিনি তাঁর বাড়ির নিচে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি বাড়ি না ঢুকলে তাঁর মা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে 'সচিন... সচিন, তোমার এখনই চলে আসা উচিত' বলতেন বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
তিনি অনুভব করতেন
সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছেন যে তিনি যখনই ব্যাট করতে মাঠে নামতেন, তখনই স্টেডিয়াম জুড়ে গর্জে ওঠা তাঁর নামে রব শুনে তিনি উদ্বুদ্ধ হতেন। 'সচিন... সচিন' ধ্বনি যে তাঁর কাছে কতবড় পাওনা ও কী বিরাট অনুভূতি, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। এর জন্য তিনি তাঁর ফ্যান যা বলেই ধন্যবাদ জানান, তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন সচিন তেন্ডুলকর।
স্ত্রীর ত্যাগ
১৯৯৫ সালে অঞ্জলি তেন্ডুলকরকে বিয়ে করেন সচিন। সেই সময় মাস্টার ব্লাস্টার ছিলেন ভারতের অন্যতম আপ-রাইজিং ক্রিকেটার। তাঁর স্ত্রী ছিলেন ডাক্তার। শুধুমাত্র সচিনের কেরিয়ারের উন্নতির জন্য অঞ্জলি দেবী নিজের পেশা ছেড়ে দেন বলে জানিয়েছেন সচিন। স্ত্রীর এই ত্যাগ তিনি ভুলবেন না বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।