'তাঁর দলে অনেক ভালো মানুষ ছিলেন', স্লেজিং প্রসঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
নিজে ছিলেন আগ্রাসী খেলোয়াড়। সেই গুণকে দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে সঞ্চালন করার চেষ্টা করেছিলেন মহারাজ। শুধু দেশ নয়, বিদেশের মাঠেও কীভাবে জিতে দেখাতে হয়, তা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়েছিলেন সৌরভ।
এমন এক মুহূর্তে ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যখন ম্যাচ ফিক্সিংয়ে বিপর্যস্ত ছিল ক্রিকেট। আত্মবিশ্বাস হারানো ভারতীয় দলকে ধীরে ধীরে মূলস্রোতে ফেরানোই নয়, তাতে এমন এক আগ্রাসন সঞ্চালন করেন, যা আগে কেউ কখনও দেখেনি।
নিজে ছিলেন আগ্রাসী খেলোয়াড়। সেই গুণকে দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে সঞ্চালন করার চেষ্টা করেছিলেন মহারাজ। শুধু দেশ নয়, বিদেশের মাঠেও কীভাবে জিতে দেখাতে হয়, তা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়েছিলেন সৌরভ। ঐতিহাসিক লর্ডসের ব্যালকনিতে জার্সি উড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে যে নবজাগরণ এনেছিলেন, তার ফল পাচ্ছেন এ প্রজন্ম।
অধিনায়কত্ব এবং ব্যাট হাতে তো বটেই, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের উদ্দেশে মাঠে মহারাজের আগ্রাসন ঝড়ে পড়ত মুখেও। যাকে সহজ কথায় বলে স্লেজিং। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে যেন একটু বেশি সক্রিয় থাকতেন মেন ইন ব্লু। সৌজন্যে অবশ্যেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
যদিও তার মধ্যে ব্যতিক্রম যে ছিল না, তা কিন্তু নয়। সেই দলের এমনই কিছু ভালো মানুষের (যাঁরা স্লেজিংয়ের ধারপাশও মাড়াতেন না) নাম নিজেই সামনে আনলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বকাপের ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রথমেই যাঁর নাম উল্লেখ করেছেন মহারাজ, তিনি রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেট মাঠে তাঁর থেকে সভ্য খেলোয়াড় তিনি আর দেখেননি বলেই জানিয়েছেন সৌরভ।
সেই তালিকায় ভিভিএস লক্ষ্মণ ও সচিন তেন্ডুলকরের নামও অন্তর্ভূক্ত করেছেন মহারাজ। ভিভিএস-কে স্লেজ করতে বলা হলে তিনি নিজের ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করাই শ্রেয় বলে মনে করতেন। আর মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা সচিনকে স্লেজ করতে বলা হলে, তিনি মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারকে সেই গুরু দায়িত্ব দিয়ে দিতেন বলে বলে জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।