ভিভের সঙ্গে ৪৫ মিনিট কথা বলে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সচিন?
২০০৭। কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিনতম সময়ে খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
২০০৭। কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিনতম সময়ে খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ঠিক সেই সময়-ই দু-বারের বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের ৪৫ মিনিটের ফোন কলে অনুপ্রাণিত হন মাস্টার ব্লাস্টার। অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সচিন।
সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার প্রায় ছয় বছর পর, ভিভের ফোনের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন সচিন তেন্ডুলকর নিজেই। স্বীকার করেছেন, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেট দলের শোচনীয় পরাজয়ে তিনি বিচলিত হয়েছিলেন। ওই সময়টা তাঁর ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের সবচেয়ে দুঃসময় ছিল বলেও স্বীকার করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সচিনের কথায়, তখন ক্রিকেট নিয়ে দেশে যা চলছিল, তাতে দলে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল। সেই পরিবর্তনগুলি না হলে, ক্রিকেট ছাড়বেন বলে মনস্থির করে ফেলেছিলেন লিটল মাস্টার।
সেই সময় সচিন তেন্ডুলকরের দাদা অজিত তাঁকে খেলা না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। দেশবাসী দেখতে চায় মাস্টার ব্লাস্টারের নিজের শহর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ উঠুক তাঁরই হাতে, একথা বলে দাদা অজিত তাঁকে খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন সচিন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন লিটল মাস্টার।
সচিন তেন্ডুলকরের কথায়, এ বিষয়ে আরো ভাবনা-চিন্তা করতে ফার্ম হাউসে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর কাছে প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান লেজেন্ড স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের ফোন আসে বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সচিন জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ৪৫ মিনিট ফোনে কথা বলেন ভিভ। তাঁর মধ্যে আরো ক্রিকেট বাকি আছে বলে ক্যারিবিয়ান লেজেন্ড তাঁকে ভরসা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সচিন। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটীয় আইকন মনে করা ভিভের কথায় তিনি ভীষণভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। জীবনে আরো একবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য হতে পারে তিনি নিজেকে গর্বিত বলে মনে করেন সচিন তেন্ডুলকর।
[আরও পড়ুন:বিশ্বকাপের সমস্ত খবর দেখুন একনজরে]