এবার আদালতের গেরোয় হার্দিক ও রাহুল! সুপ্রিম নির্দেশে আরও দীর্ঘায়িত তদন্তের অপেক্ষা, কাঠগড়ায় ডায়না
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) এক সপ্তাহের জন্য বিসিসিআই বিষয়ক সব মামলার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে নির্বাসিত ক্রিকেটার পাণ্ডিয়া ও রাহুলের অপেক্ষা আরও বাড়ল।
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) এক সপ্তাহের জন্য বিসিসিআই বিষয়ক সব মামলার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে নির্বাসিত ক্রিকেটার পাণ্ডিয়া ও রাহুলের অপেক্ষা আরও বাড়ল। তাঁরা আসন্ন বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কিনা সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে যে কোনও সুযোগ নেই, তা পরিষ্কার হয়ে গেল।
এদিনই, সিওএ-এর পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে বিসিসিআই-তে একজন ন্যায়পাল নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ঠিনি তদন্ত করে হার্দিক ও রাহুলের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন। কিন্তু সেই আবেদন গ্রহণ করে আদালত নতুন আমিকাস কিউরির দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত এই মামলাটি-সহ বিসিসিআই-এর সমস্ত মামলার বিষয়ে স্থতিগাদেশ জারি করল।
বিসিসিআই সংক্রান্ত মামলায় এতদিন সুপ্রিম কোর্টকে 'আমিকাস কিউরি' হিসেবে সাহায্য করতেন গোপাল সুব্রমানিয়ম। কিন্তু সম্প্রতি তিনি স্বাস্থ সমস্য়ার কারণে সেই কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। নতুন 'আমিকাস' হিসেবে বিচারপতি এএম সাপ্রে ও বিচারপতি এসএ বোর্দের বেঞ্চ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পিএস নরসিমা-কে বেছে মনোনিত করেছেন।
দায়িত্ব বুঝে নিয়ে একসপ্তাহ পর তাঁকে আদালতের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। এই এক সপ্তাহ বোর্ডের সব মামলাই স্থগিত থাকবে। এই সময়ে সিওএ প্রধান পাণ্ডিয়া-রাহুলের ঘটনার তদন্তের জন্য কোনও অম্বুড্সম্য়ান বা ন্য়ায়পালও নিয়োগ করতে পারবেন না। কারণ সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননা করা হবে। ফলে আপাতত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার জন্য অন্তত এক সপ্তাহ গালে হাত দিয়ে বসে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
এই পরিস্তিতির জন্য বোর্ডের কর্তারা আড়ালে সিওএ সদস্য ডায়নাকেই দায়ি করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, বিনোদ রাইয়ের প্রস্তাব মেনে নিয়ে দুই ক্রিকেটারকে দুই ম্যাচের নির্বাসনের শাস্তি দিয়ে দিলে এতদিনে ঝামেলা চুকে যেত। কিন্তু ডায়না আইনি পরামর্শ নিতে গিয়েই গোল বাধিয়েছেন। এখন এটি আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। কাজেই যে কোনও আইনি প্রক্রিয়ার মতোই এরও মিমাংসা হওয়া সময় সাপেক্ষ।