শেষ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, লড়ল আফগানিস্তান
শেষ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, লড়ল আফগানিস্তান
শুরুটা এমন ভাবে করেছিল যে দেখে মনে হয়েছিল, তাদের সামনে হয়তো টিকবে নাকোনও দল। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে রীতিমতো দুর্মুষ করেও গোটা টুর্নামেন্টে ব্যাকফুটে চলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরপর ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকেই যান ক্যারিবিয়ানরা। অন্যদিকে ভালো খেলেও বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ভাগ্যে জোটে কেবল হারই।
এমনই এক পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তুলনামূলক শক্তিশালী দল হিসেবে ক্যারিবিয়ানরা ম্যাচ ২৩ রানে জিতলেও আফগানদের হার না মানা লড়াই ক্রিকেট বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার হেডিংলে-তে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। নিজের শেষ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ব্যক্তিগত সাত এবং দলের ২১ রানের মাথায় ভয়ঙ্কর ক্রিস গেইল সাজঘরে ফিরে গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ইনিংসের ভিত গড়েন এভিন লুইস ও শাই হোপ। দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৮৮ রানের পার্টনারশিপ হয়। দলের ১০৯ রানের মাথায় আউট হন লুইস (৫৮)। এরপর শিমরোন হেটমেরের সঙ্গে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ হয় শাই হোপের।
১৭৪ রানের মাথায় হেটমেরকে (৩৯) হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিছুপরেই সাজঘরে ফেরেন শাই হোপও (৭৭)। সবশেষে গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ন নিকোলাস পুরানের সঙ্গে ১০৫ রানের পার্টনারশিপ হয় ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের। ৪৩ বলে ৫৮ রান করে রান আউট হন পুরান। ৩৪ বলে ৪৫ রান করেন হোল্ডার। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।আফগানিস্তানের সবচেয়ে বেশি ২টি উইকেট নেন দৌলত জার্দান। ১টি করে উইকেট নেন সৈয়দ শিরজাদ, মহম্মদ নবি ও রশিদ খান।
জবাবে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান শুরুতেই অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবকে (৫) হারায়। এরপরেই শুরু হয় আফগানদের লড়াই। দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শা ও ইকরাম আলি খিলের মধ্যে ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ হয়। ৭৮ বলে ৬২ রান করে আউট হন রহমত। কিন্তু ক্রিজের একদিক আঁকড়ে ধরে রাখেন খিল। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন নাজিবুল্লা জার্দান (৩১) ও অজগর আফগান (৪০)। শেষ বেলায় ৯৩ বলে ৮৬ রান করে ইকরাম আলি খিল আউট হওয়ার পর ম্যাচ কার্যত নিজেদের পকেটে পুরে নেন ক্যারিবিয়ানরা। ৫০ ওভারে ২৮৮ রান করে অল আউট হয় আফগানিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ উইকেট নেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। ৩ উইকেট নেন কেমার রোচ। ক্যারিবিয়ান শাই হোপকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়।