আই লিগে নতুন আকর্ষণ হতে পারে দিল্লি, একই শহর থেকে খেলতে পারে দুটি দল

ফলাফলের হেরফের হবে না

বিধানসভা নির্বাচনের যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তার খুব বেশি হেরফের পরেও হবে না। কারণ উত্তরপ্রদেশে ২০১৪ সালের লোকসভায় বিজেপি দারুণ ফল করেছে। সিংহভাগ আসন ছিনিয়ে নিয়েছে। এবার সেরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি অসাধারণ ফলাফল করেছে।[ইনস্যুরেন্স জালিয়াতিতে একেবারে উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ]

আইএসএলে মোহনবাগান

আসন্ন আই লিগে এবছর মোহনবাগান নেই। এটিকের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধে ক্লাব এটিকে-মোহনবাগান নতুন দল হিসেবে আইএসএলে খেলতে চলেছে।

বিজেপির জেতার মার্জিন অনেক বেশি

জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক তথা এই গবেষণা দলের অন্যতম অ্যাডাম জিগফেল্ড জানিয়েছেন, এটা বিজেপির জন্য বড় জয়। এবারে বিজেপি প্রার্থীরা বড় মার্জিনে জিতেছে। সেখানে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি যে আসনগুলিতে জিতেছে সেখানে মার্জিন বিজেপির তুলনায় অনেক কম।[নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার তালিকায় সারা দেশে কলকাতার স্থান কত? জেনে নিন]

ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলতে মুখিয়ে

মোহনবাগানের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলেরও আইএসএল খেলা নিয়ে কথাবর্তা চলছে। যদিও বিনিয়োগকারী জোগাড় করে উঠতে না পারার কারণে লাল-হলুদ ক্লাবের আইএসএল খেলা এখনও চূড়ান্ত নয়।

বিজেপির প্রচারের কাছে ডাহা ফেল বিরোধীরা

এই নির্বাচনের ফলাফল বুঝিয়ে দিচ্ছে, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী সবচেয়ে এগিয়ে। তাঁর ধারেকাছেও কেউ নেই। এমনটাই মত আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের গবেষক সদানন্দ ধুমে। গবেষকদের মতামত হল, রাজ্য ধরে ধরে অসাধারণ প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি যেখানে বিপক্ষ দল ডাহা ফেল করছে।[অবিশ্বাস্য : এই ৮ জনের কাছে রয়েছে পৃথিবীর মোট সম্পদের অর্ধেক]

নতুন ক্লাবের জন্য দরপত্র হাঁকা হয়েছিল

এই পরিস্থিতিতে জুন মাসে আই লিগে নতুন দল নেওয়ার জন্যে ফেডারেশন বিজ্ঞাপন দেয়। ১০ জুন থেকে ২০ জুনের মধ্যে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিড পেপার তোলা গিয়েছিল।

বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ

আর একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমীক্ষায় উঠে এসেছে, যে সমস্ত রাজ্যে বিপক্ষ দল ছড়িয়ে ছিটিয়ে সকলের একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে, সেখানে বিজেপি ততোধিক ভালো ফল করছে না। বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ অবস্থায় থাকলে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বাজিমাত করতে পারে।

কোন শহরগুলি থেকে নতুন দল আসতে পারে

২০২০-২১ মরসুমেই একাধিক নতুন দল লিগে অংশ নিতে পারে। রাজধানী দিল্লি, রাঁচি, জয়পুর, যোধপুর, ভোপাল, আমেদাবাদের মতো শহর থেকে আসতে পারে আই লিগের নতুন দল। ফলে লিগের আকর্ষণ বাড়তে চলেছে বলেই ফুটবল মহলের ধারণা।

নোট বাতিলকে সিংহভাগের সমর্থন

নোট বাতিলের মতো ঘটনা অত্যন্ত জনপ্রিয় পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। ভারতীয়রা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে। সকলের মনে হয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিত্তবানদের শায়েস্তা করতে এতদিনে একজন রাষ্ট্রনেতা এসেছেন। আর এখানেই নরেন্দ্র মোদী দারুণ সফল।

দিল্লি থেকে সম্ভবত দুটি দল

আই লিগে দল নেই এমন শহর থেকে এবার দরপত্রের কেনার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। এদিন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর ৩৬তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক ফুটবল আড্ডায় এই নিয়ে প্রফুল্ল প্যাটেল মুখ খুললেন। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, 'দিল্লি থেকে এবছর আই লিগে নতুন ক্লাব আসতে চলেছে।' রাজধানী শহর থেকে এক নয়, একাধিক ক্লাব আসতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।

বিজেপির সুদূরপ্রসারী ভাবনা

একেরপর এক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ফলে ২০১৮ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যসভায় আসনসংখ্যা এখনের চেয়ে অনেক বাড়তে চলেছে বিজেপি। ফলে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আইনে সংষ্কার, শ্রমিক আইনে সংষ্কারের মতো আটকে থাকা গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ করাতে পারবে বিজেপি। কারও উপরে নির্ভর করতে হবে না। ফলে সবমিলিয়ে বলা যায়, ২০১৮-২০১৯ এর পরে আরও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তরতর করে এগিয়ে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গেরুয়া শিবির।