ফুটবল জগতে নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন গর্ডন ব্যাঙ্কস! ৭০'এর সেভ-স্মরণে পেলের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
৮১ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক গর্ডন ব্যাঙ্কস। শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পেলে।
ফুটবল জগতে নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ইংরেজ গোলরক্ষক গর্ডন ব্যাঙ্কস। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ৭৩টি ম্যাচে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়াও তিনি ক্লাব ফুটবলে লেস্টার সিটি ও স্টোক সিটির হয়ে খেলেছিলেন।
নিঃসন্দেহে ফুটবলের ইতিহাসে সেরা গোলকিপারদের অন্যতম ব্যাঙ্কস স্মরণীয় হয়ে আছেন বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মুহুর্তটি উপহার দেওয়ার জন্য। ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জেতার ৪ বছর পরে বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়ায় ফুটবল সম্রাট পেলের হেড জালে জড়ানো থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন। বিশ্বকাপ তথা ফুটবলের ইতিহাসে এই মুহূর্ত চিরকাল থেকে যাবে।
সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে অবশ্য অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি ব্যাঙ্কস, ইংল্যান্ডও পরাজিত হয় পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে।
ক্লাব ফুটবলে তিনি খেলাকালীনই ১৯৭২ সালে লিগ কাপ জিতেছিল স্টোক সিটি। এখনও অবধি ক্লাবের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় ট্রফি জয়। লিগ কাপ ব্যাঙ্ক আরও একটি জিতেছিলেন এর ৮ বছর আগে লেস্টার সিটির হয়ে।
এক পথ দুর্ঘটনায় ডান চোখের দৃষ্টি হারিয়ে মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই তাঁর ফুটবল জীবন শেষ হয়। তবে এরপরেও ১৯৭৭-৭৮ সালে নর্থ আমেরিকান সকার লিগে সমসাময়িক জর্জ বেস্ট, পেলে, কার্লোস আলবার্তোদের সঙ্গে ফুটবল খেলেছিলেন ব্যাঙ্কস।
তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন পেলে। ফুটবল সম্রাট জানিয়েছেন, তিনি জীবনে অনেক গোল করেছেন, কিন্তু তাঁকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন শুনতে হয়েছে ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ব্যাঙ্কস বিরুদ্ধে গোল না করতে পারা নিয়ে। এতটাই ভাল ছিল সেই সেভ।
পেলে জানিয়েছেন বলটি একেবারে নিখুঁত জায়গায় রেখেছিলেন তিনি। এমনকী গোল উদযাপনের জন্যও তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন। হঠাত ঠিক নীল অশরীরীর মতো আবির্ভূত হয়ে সেই গোল বাঁচিয়েছিলেন গর্ডন ব্যাঙ্কস। এখন ভিডিও দেখেও তিনি ভেবে উঠতে পারেন না ব্যাঙ্কস কী করে অত দ্রুত পৌঁছে গিয়েছিলেন বলের কাছে।
সেই গোল বাঁচানোর জন্য নয়, গর্ডন তাঁর স্মৃতিতে থাকবেন এক খুব কাছের বন্ধু হিসেবে। তবে এটা মানতেই হবে ৭০'এর সেই ঘটনা থেকেই তাঁদের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল।