বাবা দিওয়ারা থেকে প্লাজা-কিসেকা-ডিকা, করোনা সংকটে ভারতে আটকে আই লিগের নামি বিদেশিরা
বাবা দিওয়ারা থেকে প্লাজা-কিসেকা-ডিকা, করোনা সংকটে ভারতে আটকে আইলিগের নামি বিদেশিরা
ভারতীয় ফুটবলে আই লিগের ম্যাচ শেষ হয়েছে প্রায় চার মাস। করোনায় লিগের ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পর, ভাইরাস উদ্বেগে প্রতিকূল পরিবেশে খেলা নিয়ে ঝুঁকি না নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্থগিত ম্যাচগুলি বাতিল করা হয়েছিল। যারপর ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে খেলা স্প্যানিশ বিদেশি ফুটবলাররা মে মাসের শুরুতে কলকাতা থেকে বাসে দিল্লি হয়ে ম্যারাথন জার্নিতে স্পেনে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু আই লিগে খেলা সকল বিদেশিদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। করোনা ধাক্কায় এখনও ভারতেই আটকে আই লিগে খেলা একাধিক বিদেশি।
আই লিগের শেষ ম্যাচ কবে
১০ মার্চ করোনা ধাক্কার আগে আই লিগে মোহনবাগান-আইজল ম্যাচে মাঠে বল গড়িয়েছিল। এরপর ভাইরাস আতঙ্কে দেশজুড়ে খেলাধুলোর দুনিয়া পুরোপুরি বন্ধ। মাঝে লিগের পয়েন্ট টেবিলে পয়েন্ট পার্থক্যে এগিয়ে থাকা মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে আই লিগ শেষ করে ফেডারেশন। অনলক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের পক্ষ থেকে দর্শকশূন্য পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও ভারতে এখনও ফুটবল শুরু হয়নি।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাতে ধাক্কা, আটকে আই লিগের বিদেশিরা
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা করোনা ধাক্কায় স্বাভাবিক না থাকার কারণে আই লিগের একাধিক ক্লাবের বিদেশিরা এখনও ভারতে আটকে রয়েছেন।
আটকে বাবা-দিওয়ারা, ডিপান্ডা-ডিকা, কিংসলে
মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করা স্ট্রাইকার বাবা দিওয়ারা করোনা সংকটে এখনও কলকাতাতেই রয়েছেন। অন্যদিকে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল সাইরাস এখনও কলকাতায়। পাঞ্জাব এফ সি'র দুই ফুটবলার ক্যামেরুনের ডিপান্ডা ডিকা ও নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার কিংসলে মহামারির এই সময় ভারতেই আটকে রয়েছেন। জানা গিয়েছে ডিকা এখন পাঞ্জাবে রয়েছেন। তবে কিংসলে কলকাতা খেলে যাওয়ার সুবাদে একাধিক বন্ধু রয়েছে। কলকাতায় বন্ধুর বাড়িতে রয়েছেন কিংসলে।
আটকে প্লাজা, কিসেকা
পাহাড়ি দল চার্চিল ব্রাদার্সে খেলা চার বিদেশি প্লাজা, সিসে, রবার্ট, আবুবকর গোয়াতে আটকে রয়েছেন। গোকুলাম এফ সিতে খেলা কিসেকা, রোয়ান্ডার কিপসন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর আতিয়েন, নাথানিয়েল, মার্কাস করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে আটকে। জানা গিয়েছে মেডিক্যাল পরীক্ষার পর শনিবার কিসেকা ও কিপসন দেশে ফেরার বিমান ধরতে পারেন। বাকিরা দূতাবাসের সাহায্যে দ্রুত দেশে ফেরার আশা রাখছেন।