সিন্ধু গর্জনে কেঁপে গেল সার্কিট, ফিরে দেখা হায়দরাবাদি কন্যার পাওয়া- না পাওয়ার সাতকাহন
২০১৭ বিদায়ের পথে, দরজায় কড়া নাড়ছে আরও একটি নতুন বছর, ২০১৮। এই গোটা বছরে পাওয়া না পাওয়া অনেক কিছুই আছে।
২০১৭ বিদায়ের পথে, দরজায় কড়া নাড়ছে আরও একটি নতুন বছর, ২০১৮। এই গোটা বছরে পাওয়া না পাওয়া অনেক কিছুই আছে। তবে প্রাপ্তির ঝুলি ভরে উপচে গেছে অনেকক্ষেত্রে। এখন বছর শেষের পথে এসে ফিরে দেখা সেই অধ্যায়ের কয়েকটি পাতা।
পিভি সিন্ধুর জন্য এটা একটা দারুণ বছর গেল। মনের কোণে একটা দুঃখ অবশ্য থাকছে হায়দরবাদী শাটলারের। একাধিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছেও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপও। বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং দুবাই সুপার সিরিজে ফাইনালের হার সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে। পিভি সিন্ধু নিজে জানিয়েছেন, 'আমার মনে হয় না কোনও একরকমের ভুল আমি করেছি। একটা খেলায় তুমি জেতো কিম্বা হারো, আমার মনে হয় ওই দিন গুলি আমার ছিল না। এরজন্য গ্লানি রেখে কোনও লাভ নেই। '
সাইনা নেহওয়াল ও ক্যারোলিন মারিন একটানা ব্যাডমিন্টন শিডিউল নিয়ে তোপ দেগেছেন কিন্তু পিভি সিন্ধু চুপ করেই থেকেছেন , কারণ এটাই তাঁর স্বভাব। তিনি জানেন যে জিনিসটা তাঁর হাতে নেই , তা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও লাভ নেই। তিনি খালি বোঝেন সার্কিট নামা মানেই নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য নামা।
২০১৬-র রিও অলিম্পিক্সে রূপো জিতেছিলেন সিন্ধু এবারই প্রথম বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিলেন পিভি সিন্ধু। কিন্তু হেরে যান জাপানি প্রতিপক্ষ ওকুহারার কাছে। পদকের রঙ সোনালি না হওয়ায় দারুণ ভেঙে পড়েন ভারতীয় এই তারকা। এর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই নোজোমি ওকুহারাকে হারিয়ে কোরিয়ান ওপেন জিতে নেন। এছাড়াও এ মরশুমের শুরতেই ইন্ডিয়ান ওপেনে ক্যারোলিন মারিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি।
এই বড় সাফল্যগুলি ছাড়াও প্রতিটা গ্রাঁ প্রি ও টুর্নামেন্টেই সিন্ধু রূপো ঘরে নিয়ে এসেছেন। এককথায় ধারাবাহিক ও দুরন্ত পারফরম্যান্স।